দু’দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোনও অভিযুক্ত গ্রেফতার না হওয়ায় বুধবার ময়নায় ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছিল বিজেপি। দলের বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনের ঘটনায় বড়সড় প্রতিবাদের আয়োজন করেছিল তারা। উপস্থিত ছিলেন জেলার বহু বড়-মেজ-ছোট নেতা। এসেছিলেন বহু দলীয় কর্মীও। সকলের জন্যই ঢালাও ভূরিভোজের আয়োজন করা হয়েছিল ময়না উত্তর মণ্ডল কমিটির সাধারণ সম্পাদক বলরামবাবুর বাড়িতে। বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ বনধ চলার একফাঁকেই সেখানে উপস্থিত হয়ে পেট পুরে মুরগির মাংসের পাতলা ঝোল আর গরম ভাত খেয়ে যান নেতা-কর্মীরা। এদিকে তখনও নিহত বিজেপি নেতার মৃতদেহ তমলুক হাসপাতালের মর্গে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে।
জানা গিয়েছে, বুধবার বনধ উপলক্ষে যখন বিজেপির একদল নেতাকর্মী বাইপাস মোড়ে অবরোধ শুরু করেন, ঠিক তখনই সেখান থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বলরামবাবুর বাড়িতে আর একদল লেগে পড়েন দুপুরের খাবারের আনাজপাতি কাটতে, মশলা বাটতে। সকাল সকাল শুরু হয়ে যায় প্রায় ৩০ কেজি মুরগির মাংস রান্নার আয়োজন। এ নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। দলের পঞ্চায়েত সদস্য সুব্রত মাইতি বলেন, ‘দলীয় নেতা খুনের পর ওঁদের মধ্যে যদি ছিটেফোঁটাও শোকতাপ থাকত, তাহলে এভাবে মাংস-ভাতের আয়োজন করতে পারত না। এভাবে পাত পেড়ে ভূরিভোজ ওঁদের পক্ষেই সম্ভব। আসলে এসবই ভোটের রাজনীতি। সামনে পঞ্চায়েত ভোট আসছে। তার আগে এলাকা গরম করার জন্য বিজেপি অবরোধ করছে ধর্মঘট ডাকছে। ওদিকে লুকিয়ে লুকিয়ে মাংস-ভাত খাচ্ছে।’