মালদহে বার্ধক্য ভাতা প্রদান করার জন্য শতবর্ষ পেরোনো এক বৃদ্ধা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করলেন। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ‘তৃণমূলে নব জোয়ার’ প্রচারকার্যে, নালাগোলা গ্রামের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় ১২৭ বছর বয়সী মহিলা – বিমলা সরকারের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। তিনি মালদহে রাস্তার ধারে অপেক্ষা করছিলেন অভিষেকের জন্য।
অভিষেক ওই বৃদ্ধ মহিলাকে অপেক্ষারত অবস্থায় দেখে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ও তাঁর আশীর্বাদ নিতে যান। ওই বৃদ্ধ মহিলা তাঁর প্রাপ্য ১০০০ টাকা বার্ধক্য ভাতার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রসেকে ধন্যবাদ জানান। তারপর অভিষেকের মাথায় হাত রেখে বলেন, আশীর্বাদ করছি, আগামী দিনে তুমি রাজা হবে’।
তিনি বলেছেন যে, তাঁর ছেলেরা, যাঁরা এখন অবসরপ্রাপ্ত, অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করেন। তার ফলে তাঁর প্রতি মাসে ওষুধ কেনার জন্য কিছু সংখ্যক অর্থ অপরিহার্য। তিনি তৃণমূল সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, যা তাঁর মতো মানুষদের খুব সাহায্য করেছে বলে দাবি তাঁর।
অবিভক্ত ভারতে বেড়ে ওঠার পর বিমলা সরকার ১৯৫৮ সালে তাঁর বাবা-মা এবং ভাইদের সঙ্গে ভারতে আসেন। ওড়িশায় একটি শিবিরে রোগের প্রাদুর্ভাবের পর তাঁরা অন্ধ্রপ্রদেশের অন্য একটি শরণার্থী শিবিরে স্থানান্তরিত হন। অবশেষে, সরকার পরিবার মালদহ জেলার নালাগোলায় স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করে, যেখানে তাঁর পরিবারের কিছু সদস্য আগে থেকেই বসতি স্থাপন করেছিলেন।
বিমলা সরকারের নাতি, মনোজিৎ সরকার, গ্রামে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের জন্য একটি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র চালান। তিনি বলেন, তাঁর ঠাকুমা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাড়িতে নিয়ে আসতে বলেছিলেন, কারণ বিমলা সরকারের বাড়ি গলির মধ্যে। তিনি বলেছেন, ‘ঠাকুমা নিজের চোখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে চেয়েছিলেন। তিনি অত্যন্ত খুশি হয়েছেন যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে এসে ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে দেখা করেছেন এবং কথা বলেছেন’।