এবার আহমেদাবাদের বিশেষ আদালতের তিরস্কারের মুখে পড়ল সিট। মোদীরাজ্যে ২০০২ সালে নারদা গাম গণহত্যা মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছে ৬৭ জন অভিযুক্ত। যার জন্য এবার সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করে দেওয়া সিটের তদন্তকে দায়ী করল আহমেদাবাদের বিশেষ আদালত। বিচারকের দাবি, সিটের তদন্তে খামতি ছিল। উপযুক্ত প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি তারা। তার জেরেই বেকসুর খালাস পেয়েছে অভিযুক্তরা। ২০০২ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি আহমেদাবাদ শহরের নরোদা গাম এলাকায় সাম্প্রদায়িক হিংসায় ১১ জন মুসলমানের মৃত্যু হয়। গোধরায় ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরের দিনের ঘটনা। ২০০৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিট তদন্তভার নেয়। ৮৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। মামলায় মোট ১৮২ জন সাক্ষী ছিলেন। তাঁদের জেরা ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে চার্জশিটে পেশ করে সিট। অবশেষে বেকসুর খালাস পায় ৬৭ জন অভিযুক্ত। যা ঘিরে উঠেছিল বিতর্কের ঝড়।
প্রসঙ্গত, এই সংক্রান্ত এক রিপোর্টে আহমেদাবাদের বিশেষ আদালতের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করে দেওয়া সিট উপযুক্ত তদন্ত করতে পারেনি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্যপ্রমাণ দাখিল করতে পারেনি। এমনকী, সাক্ষীদের বয়ানে যে অসঙ্গতি ছিল তা দূর করার চেষ্টাও করেনি সিটের তদন্তকারীরা। অভিযুক্তরা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হামলা চালিয়েছিল, তা প্রমাণ করা যায়নি। তাই ৬৭ জনকে বেকসুর খালাস দিতে হয়।
