দুয়ারে সরকারের ষষ্ঠ দফায় রাজ্যজুড়ে প্রায় আধ কোটি মানুষ পরিষেবা পেলেন। ১ এপ্রিল থেকে এক মাস ধরে চলেছে এই কর্মসূচি। গত ৩০ এপ্রিল ছিল পরিষেবা প্রদানের শেষদিন। দেখা যাচ্ছে মোট ৪৭,১১,২৬০ জন উপভোক্তা পরিষেবা পেয়েছেন এবার। তার মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে সবথেকে বেশি মহিলা টাকা পেয়েছেন। সংখ্যাটা প্রায় ১১ লক্ষ। তারপরেই রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী।
জানা গিয়েছে, দুয়ারে সরকারে নতুন করে ৪ লক্ষ ৩১ হাজার মানুষকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়া হয়েছে। নবান্নসূত্রে খবর, এবারের দুয়ারে সরকার শিবিরে মোট ৪৭ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬১৯ জন উপভোক্তার আবেদন অনুমোদন পেয়েছিল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ঐক্যশ্রী, কন্যাশ্রী, কৃষকবন্ধু, বিধবা ভাতা, তফসিলি বন্ধু, রূপশ্রী, মানবিক, জয় জোহারের মতো প্রকল্পগুলিতে ১০০ শতাংশ পরিষেবা পেয়েছেন আবেদনকারীরা। তাঁদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ঢুকে গিয়েছে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্র, মৎস্যজীবীদের সার্টিফিকেট-সহ আরও ১০টি প্রকল্পে ১০০ শতাংশ পরিষেবা পেয়েছেন উপভোক্তারা। বকিগুলিতেও পরিষেবা প্রদানের হার ১০০ শতাংশের কাছাকাছি।
এছাড়াও ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, কিষান ক্রেডিড কার্ড (কৃষি), কৃষান ক্রেডিট কার্ড (এআরডি)-তেও মানুষের আগ্রহ রয়েছে চোখে পড়ার মতো। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই দুয়ারে সরকারের ১২টি প্রকল্পে ১০০ শতাংশ পরিষেবা প্রদান শেষ হয়ে গিয়েছিল। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ১১,৪৮৭ জন উপকৃত হয়েছেন এবারের ক্যাম্প থেকে। গত ২৬ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন সভাঘর থেকে এই পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। তিনি রিমোটে সুইচ টেপা মাত্রই উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যায়। এছাড়াও অন্যান্য পরিষেবাও প্রদান করা হয় জেলা-ব্লক থেকে। তবে যে সংখ্যক মানুষ এবারের দুয়ারে সরকারের সুবিধা পেলেন তা রেকর্ড বলেই জানাচ্ছেন নবান্নের শীর্ষ কর্তারা। ঐক্যশ্রী প্রকল্পে টাকা পেয়েছেন ২,৫৯, ৩৯৫ জন, কন্যাশ্রীর টাকা ঢুকেছে ১,৫৯,১৬১ জনের অ্যাকাউন্টে। কৃষকবন্ধুতে ১,৫৭,৪৪৬ জন কৃষক উপকৃত হয়েছেন। স্বাস্থ্যসাথীর পাশাপাশি খাদ্যসাথী প্রকল্পের প্রায় সওয়া এক লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এবারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে রাজ্যজুড়ে প্রায় ২ লক্ষ ক্যাম্প করা হয়েছিল। শুধু আবেদন জমাই নয়, অভিযোগ জমা দেওয়ার জন্যও প্রত্যেক শিবিরে ‘কমপ্লেন বক্স’ও রাখা হয়। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছতে ছিল মোবাইল ক্যাম্পও।