ক্রমাগত গোষ্ঠীকোন্দল, সাংগঠনিক দুর্বলতা তো রয়েছেই। এবার নয়া সমস্যার মুখে বঙ্গ বিজেপি। শেষমেশ ভাঁড়ারেই পড়ল টান! দল চালাতে আরও টাকা চাই, এই দাবিতেই দিল্লীর বিজেপি নেতাদের উপর চাপ বাড়াচ্ছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দল পরিচালনার কাজে আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর দাবিতে ক্রমেই কেন্দ্রের গেরুয়া নেতাদের কাছে দরবার করছেন সুকান্তরা। তবে খবর মিলেছে, বঙ্গ বিজেপির উপর শাহ, নাড্ডাদের নাকি কিঞ্চিৎ কৃপা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি দিল্লী থেকে অর্থ আসতে চলেছে বঙ্গ বিজেপির কোষাগারে। দিল্লী গিয়ে রাজ্যের নেতারা নাকি বুঝিয়েছেন, পার্টির ভাঁড়ারে টান পড়লে সংগঠন আরও ধাক্কা খাবে। লোকসভা ভোটে যার প্রভাব পড়বে। সুকান্তর কথায়, আগামী মাস থেকে দিল্লী নেতৃত্ব, বঙ্গ বিজেপির জন্য মাসিক ব্যয়বরাদ্দ বাড়াচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজেপিতে গোষ্ঠীর শেষ নেই। বঙ্গ বিজেপির এক প্রভাবশালী নেতায় বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি বিজেপিতে থেকেও সমান্তরাল পার্টি চালান। নিজের কর্মসূচীর বহন তিনি নিজেই জোগাড় করেন বলেও শোনা যায়। দিল্লীর তোয়াক্কা করেন না, রাজ্যের নেতাদেরও বিশেষ পাত্তা দেন না। বিজেপির এক দল নেতার কথায়, ওই প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে টক্কর দিতেই বঙ্গ-বিজেপির এক গোষ্ঠী অনুদান বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল। বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারে বিপুল অর্থব্যয় করেছিল বিজেপি। কিন্তু সাফল্য মেলেনি। এরপর থেকেই বাংলার প্রতি দিল্লীর উৎসাহে খানিকটা ভাটা পড়েছিল। তবে কি লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বঙ্গ বিজেপির টাকা বাড়ানোর আবেদন মঞ্জুর করলেন দিল্লীর নেতারা? উঠছে প্রশ্ন। তবে রাজ্য বিজেপির একটা বড় অংশের মতে, টাকা নয় দরকার কর্মী ও সংগঠন, তবেই মিলবে নির্বাচনী সাফল্য। নাহলে ফের ভরাডুবির সম্মুখীন হবে দল।