তরিতরকারি ও ডালে কমবেশি টম্যাটোর ব্যবহার করেন সকলেই। আবার টম্যাটো ছাড়া সাল্যাডও অসম্পূর্ণ। কিন্তু ফসলের দাম না পেয়ে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় সেই টম্যাটো চাষিদের। উৎপাদিত ফসল বাজারে বিক্রি করে সামান্য চাষের খরচও তোলা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা। তাঁদের দাবি, বাজারে একেবারেই দাম পাওয়া যাচ্ছে না উৎপাদিত টম্যাটোর।
এর আগে যোগী রাজ্যে আলুর দামও একইভাবে পড়ে গিয়েছিল। তারপর এবার টম্যাটো। কৃষকদের নাজেহাল করে দিয়েছে টম্যাটোর দাম। ইদানীং বাজারে টম্যাটোর দাম এত কমে গিয়েছে, যে কৃষকরা লাভ করার কথা ভাবতেই পারছেন না। এমনকী, নিজেদের চাষের খরচটুকুও তোলা সম্ভব হচ্ছে না বলে তাঁদের অভিযোগ।
উত্তরপ্রদেশের হাপুর জেলার পাইকারি বাজারে টম্যাটো বিক্রি হচ্ছে তিন টাকা প্রতি কেজি দরে। চাষিদের দাবি, এই দামে ফসল বিক্রি করে তাঁরা তাঁদের চাষের খরচটুকুও আদায় করে নিতে পারছেন না। হাপুর জেলার কৃষকরা প্রচুর পরিমাণে টম্যাটো উৎপাদন করেন। ফলে পরিস্থিতি এমনই যে, তাঁরা খেত থেকে টম্যাটো বাজারে আনার জন্য প্রয়োজনীয় গাড়ি ভাড়া তুলতে পারছেন না।
হাপুরের সিমরাউলি গ্রামের কৃষক সঞ্জয় কুমার বলেন, কিসান মন্ডির অবস্থা এমন যে এক ক্যারেট টম্যাটো বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। এক ক্যারেট অর্থাৎ ২৫ কেজি টম্যাটো। কিন্তু কেন এমন ভাবে পড়ে গেল ফসলের দাম! কৃষকরা সরাসরি আঙুল তুলছেন সরকারের দিকে। তাঁরা এই দুর্দশার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিকে দায়ী করছেন।