বাংলার প্রতি মোদী সরকারের লাগাতার বঞ্চনার প্রতিবাদে ফের কড়া অবস্থানের পথে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণের প্রতিবাদস্বরূপ গত ২৯শে মার্চ রেড রোডে টানা ৩০ ঘণ্টা ধরনায় বসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়াতে আবার ধরনায় বসার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যের শাসকদল। টানা ৩২ ঘণ্টার জন্য ধরনায় বসবে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ১০টা থেকে মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসবে ঘাসফুল শিবিরের মহিলা শাখা। উপস্থিত থাকার কথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা থেকে তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক ও অন্য নেত্রীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টা পর্যন্ত অর্থাৎ দীর্ঘ ৩২ ঘণ্টা চলবে ধরনা। আবাস যোজনা থেকে ১০০ দিনের কাজ-সহ নানা প্রকল্পে কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে পাওনা অর্থ থেকে বঞ্চিত হয়েছে বাংলা। সেই বঞ্চনার কথা মনে করিয়ে বিজেপি সরকারকে চাপে ফেলতেই আরও একবার ধরনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, মার্চে রেড রোডের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিভিন্ন ইস্যুর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। ওয়াশিং মেশিন নিয়ে অভিনব প্রতিবাদ করেন মমতা। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও বিক্ষোভ দেখান। সেই সঙ্গে হুঙ্কার দেন, “প্রয়োজন পড়লে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়ে ধরনায় বসব। সে হিম্মত আমার আছে। আমি তো জনপ্রতিনিধি।” মঙ্গলবারই তৃণমূল সরকারের ১২তম বর্ষপূর্তিতে ফের জোটের বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চব্বিশে লোকসভা ভোটের পরিবর্তনের ডাক দেন তিনি। বিরোধীরা একজোট হলে কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে বিজেপিকে সরানো সম্ভব বলে মনে করছেন মমতা। একদিকে যেখানে পদ্মশিবিরকে ধাক্কা দিতে জোটের বার্তা দিচ্ছেন মমতা, ঠিক সেদিনই নতুন করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধরনার ঘোষণা করে মোদী সরকারকে বাড়তি চাপে ফেলার চেষ্টা করছে তৃণমূল, এমনই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।