এখনও অব্যাহত জটিলতা। মেলেনি কোনও সুরাহাসূত্র। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের জমিজট পৌঁছেছে চরমে। জোরপূর্বক অমর্ত্যকে উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছে ঐতিহ্যবাসী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কদের নির্দেশ দিয়েছেন, বিশ্বভারতী যদি উচ্ছেদ করতে যায়, সেক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে বসতে হবে অমর্ত্য সেনের বাড়ির সামনে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই খবরের শিরোনামে বিশ্বভারতী ও অমর্ত্য সেনের জমিজট। সম্প্রতি বিশ্বভারতী উচ্ছেদ নোটিশ পাঠায় অমর্ত্য সেনকে। ৬ই মে জমি খালি করার শেষ দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছে বলে জানানো হয় সেখানে। প্রয়োজনে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বল প্রয়োগ করবে এমনও হুশিয়ারিও দেয়। এর পালটা আদালতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এপ্রসঙ্গেই মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চন্দ্রনাথ সিনহাকে তিনি নির্দেশ দেন, বিশ্বভারতী যদি জোরপূর্বক উচ্ছেদের চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে প্রতীচীর সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের। দলের নেতা-কর্মীর পাশাপাশি বাউলদেরও এতে যুক্ত করার কথা বলেন তিনি।
উল্লেগ্য, জমিজটের সূত্রপাতের লগ্ন থেকেই নোবেলজয়ীর পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। নিজে গিয়ে অমর্ত্য সেনের সঙ্গে কথা বলেছেন। একহাত নিয়েছেন বিশ্বভারতীকে। হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। তাতেও বিশেষ সমাধান হয়নি। পরবর্তীতে মমতা বলেছেন, বাড়ি ভাঙার চেষ্টা হলে বুলডোজারের সামনে বসে তা আটকাবেন। মঙ্গলবার মমতা ফের প্রমাণ করে দিলেন, এই আন্দোলনে নোবেলজয়ীর পাশেই রয়েছেন তিনি।