কর্ণাটক বিধানসভার ভোটে কংগ্রেসের প্রচারে এবার বেশ ‘জীবন্ত’ ৩৯ বছর আগে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। শুরু করেছিলেন রাহুল, প্রিয়াঙ্কা। এখন পাড়ার পথসভাতেও কংগ্রেস নেতারা টানছেন প্রয়াত নেত্রীর কথা। কীভাবে কর্নাটক থেকে কংগ্রেসের পুনর্জাগরণ ঘটিয়েছিলেন ঠাকুমা ইন্দিরা, প্রতিটি সভায় তা কর্মীদের মনে করিয়ে দেওয়া শুরু করেন ইন্দিরা নাতি ও নাতনি। দলের এই কৌশল এবারের ভোটে কংগ্রেসের কতটা কাজে আসে তা নিয়ে প্রতিপক্ষ বিজেপি-সহ সব মহলেই কৌতুহল রয়েছে।
কর্নাটকের এবারের বিধানসভা ভোট সব দলের কাছেই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সময়ের কারণে। বছর শেষ হওয়ার আগেই রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীশগড়, তেলেঙ্গানা বিধানসভার নির্বাচন। তার মাস চারেকের মাথায় হবে লোকসভার ভোট। তবে কংগ্রেসের জন্য দক্ষিণের এই রাজ্যের বিধানসভার ভোটের জয় হাসিল করা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কারণ, দল যে তিনটি মাত্র রাজ্যে ক্ষমতায় তার দুটি রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে ক্ষমতা ধরে রাখা দলের জন্য অস্তিত্ব রক্ষার সমান। কর্নাটকে জিততে না পারলে ছত্তিশগড়, রাজস্থানও ধরে রাখা কঠিন।
আর সেই কারণেই কর্নাটকে নির্বাচনী প্রচারে কর্মী-সমর্থকদের মনোবল বাড়াতে কংগ্রেসের প্রচারে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে ইন্দিরা গান্ধীর নাম। কারণ, ইন্দিরার সময় কংগ্রেসের উত্থান-পতনের অনেক কাহিনি জড়িয়ে আছে দক্ষিণের এই রাজ্যটির সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত কর্নাটক ইন্দিরাকে বিমুখ করেনি। বস্তুত, ইন্দিরার রাজনৈতিক উত্থান এবং গান্ধী পরিবারকে ঘিরে যেমন উত্তরপ্রদেশের একদা গঞ্জ শহর রায়বেরলি ও আমেঠির নাম গোটা ভারত জানে, একটা সময় লোকের মুখে মুখে ঘুরত কর্নাটকের চিকমাগালুরের কথা।