তিহাড় জেলে নিহত রোহিনী আদালতে শুটআউটে অভিযুক্ত গ্যাংস্টার তিলু তাজপুরিয়া। জেলেই তাঁর প্রতিপক্ষ দলের সদস্য় যোগেশ টুন্ডা এবং অন্যান্যরা তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তিলুকে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনা নিশ্চিত করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালেই তিহার জেলের মধ্যে তিলু তাজপুরিয়ার উপর হামলা চালায় তাঁর প্রতিপক্ষ যোগেশ টুন্ডা ও টুন্ডার সহকারীরা। জানা গিয়েছে, একটি লোহার রড দিয়ে তিলুর উপর আক্রমণ করা হয়। রক্তারক্তি কাণ্ড বাধে জেলের মধ্যেই। তারপরই দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে তিলুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিহাড় জেলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আর দিল্লির এই জেলেই বন্দি রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সম্প্রতি সেখানে ঠাঁই হয়েছে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের। ফলে আজ সকালের এই ঘটনার পরে তাঁরা কতটা সুরক্ষিত এই নিয়ে প্রশ্ন উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অনুব্রত, সুকন্যা ছাড়াও বাংলা থেকে মণীশ কোঠারি, সায়গল হোসেন ও এনামূল হকও বন্দি রয়েছেন তিহাড় জেলে। এদিকে শুধু পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাই নন। এই জেলে রয়েছেন দিল্লি সরকারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, শিক্ষমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তাঁদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এদিকে অসুস্থতার অজুহাত দিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে একাধিকবার জামিনের আবেদন করেছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। মঙ্গলবার সকালে তিহাড় জেলের এই রক্তারক্তি কাণ্ডের পর জামিনের জন্য অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী আরও একটি অস্ত্র হাতে পেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।