বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকেই অব্যাহত গেরুয়াশিবিরের শনির দশা। মাথাচাড়া দিয়েছে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব। একের পর এক দল ছেড়েছেন নেতা-নেত্রীরা। ক্রমশ দুর্বল হয়েছে সংগঠন। যার জেরে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের উপর আস্থা হারিয়েছেন দিল্লীর নেতারা। সংগঠন নিয়ে কার্যত উদাসীন হয়ে পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় গেরুয়া নেতারা। অমিত শাহ বা জে পি নাড্ডার বঙ্গ সফরে রাজ্যে যাচ্ছেন দিল্লীর নেতৃত্ব। কিন্তু তারপর আর বাংলায় টিকিটি দেখা যাচ্ছে না তাঁদের। এমনকী অভিযোগ উঠছে, কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে সাংগঠনিক বিষয়ে কোনও দরবার করা হলেও, কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। সুরাহা হচ্ছে না অভাব-অভিযোগের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মাথায় চারজন কেন্দ্রীয় নেতাকে বসিয়েছিলেন নাড্ডা। তাঁরা হলেন সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে, আশা লাকড়া এবং অমিত মালব্য। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতা সতীশ ধোন্দকে রাজ্য বিজেপির সংগঠনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করে বাংলায় পাঠিয়েছেন নাড্ডা। কিন্তু তারা বিলকুল চুপ। রাজ্য বিজেপির নেতাদের একাংশের কথায়, এর আগে কোনও সমস্যা হলে, তারা সরাসরি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে পারত। কিন্তু এখন আর তা হচ্ছে না। ফলে বঙ্গ বিজেপির নেতারা বিরক্ত। কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত নেতাদের ভূমিকা কী, এমনই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।