সংবাদমাধ্যমে একটি প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সমালোচনা করেছিলেন তিনি। এক বিজেপি নেতা তা নিয়ে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকরকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানাতেই রাজ্যসভার সেক্রেটারিয়েটের তরফে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছিল কেরালার সিপিএম সাংসদ জন ব্রিট্টাসকে। তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে ধনকরের সঙ্গে দেখা করে শোকজের উত্তর দিয়েছেন জন। তিনি বলেন, কেরালা সম্পর্কে কথা উঠলে জবাব দেবই আমি।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সংবাদমাধ্যমে বিশেষ প্রতিবেদন লিখেছিলেন সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ জন। কেরালা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পি সুধীরের অভিযোগ, বাম সাংসদের প্রতিবেদনের এক জায়গায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্পর্কে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করা হয়েছিল। কেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ওই ভাষায় আক্রমণ করা হবে? প্রশ্ন তুলে উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনকরকে চিঠি লেখেন সুধীর।
এর পরেই বাম সাংসদকে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছিল। প্রতিবেদনে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। শোকজ নোটিস পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ব্রিট্টাস। তিনি বলেন, ‘একটি প্রতিবেদনের কারণে আমাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। আমার অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে বলেছি যে প্রতিবেদন রচনা এবং সেখানে বক্তব্য পেশ মৌলিক অধিকার এবং বাক স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে। যদি কেরালা সম্পর্কে কথা ওঠে তবে ভবিষ্যতেও আমি জবাব দেবো।’