প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শততম ‘মন কি বাত’ সম্প্রচারিত হচ্ছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার খাসতালুকেই সেই অনুষ্ঠান শোনার ভিড় নেই!
শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক নন্দীগ্রামের গোকুলনগর জি জে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ময়দানে বাঁধা হয়েছিল মঞ্চ। প্রায় চার হাজার চেয়ার পাতা হয়েছিল। বেলা সাড়ে ১০টার পরেও বহু চেয়ার ফাঁকা ছিল। ফলে, শেষ মুহূর্তে আশপাশ থেকে লোক জোগাড়ে উদ্যোগী হন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। মঞ্চের সামনের দিকে চেয়ারগুলিতে মহিলাদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে এনে বসানো হয় পিছনের সারিতে বসে থাকা পুরুষদের।
স্থানীয় বিজেপি নেতাদের একাংশের বক্তব্য, শেষ পর্যন্ত হাজার দেড়েক চেয়ার ফাঁকা ছিল। বিজেপির নন্দীগ্রাম-৩ মণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত এই গোকুলনগরকেই বিজেপির সর্বাধিক শক্তিশালী ঘাঁটি বলে মনে করা হয়। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই গোকুলনগরের ভোটেই কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রাম-জয়ের স্বপ্ন। সেই গোকুলনগরেই ফাঁকা চেয়ারের নেপথ্যে দলে আদি-নব্যের দ্বন্দ্বকে দায়ী করছেন বিজেপির নেতা-কর্মীদের অনেকেই। এখানেই পৃথক মঞ্চ গড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন লড়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে আদিদের তরফে।
অনুষ্ঠানের জন্য নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের হরিপুর ও পাশের খেজুরি বিধানসভা এলাকার পাঁচটি মণ্ডল থেকেও বিজেপি নেতা-কর্মীদের আনা হয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘যতটা আশা করা হয়েছিল, তত মানুষ আসেননি। কেন আসেননি, তা নেতারাই বলতে পারবেন।’ যদিও বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মেঘনাদ পালের দাবি, ‘দুঃসহ গরমে যে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে তার সঙ্গে জুটি বেঁধে ভ্যাপসা গরম ছিল। ফলে, মানুষ চেয়ারে না বসে আশেপাশে ছিল। দ্বন্দ্বের তত্ত্ব ঠিক নয়।’
অবশ্য রবিবার এ দৃশ্য শুধু নন্দীগ্রামেই নয়, রাজ্যের আরও কিছু এলাকাতেও চোখে পড়ল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘বিজেপিতে ধস নেমেছে। মানুষকে কত দিন বোকা বানিয়ে রাখা যায়? ওদের সঙ্গে থাকা মানুষের মোহ ভাঙছে।’