বছর ঘুরলেই দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন। গদি বাঁচিয়ে রাখতে মরিয়া শাসকদল বিজেপি। অন্যদিকে লড়াইয়ের পরিকল্পনায় শান দিতে ব্যস্ত বিরোধী দলগুলিও। উল্লেখ্য, ভারতের জোট রাজনীতির অন্যতম উজ্জ্বল চরিত্র হল জয়প্রকাশ নারায়ণ। যিনি ‘জে পি’ নামেই বহুল পরিচিত। ১৯৭৪ সালে পাটনার ঐতিহাসিক গান্ধী ময়দানের জনসভা থেকে সম্পূর্ণ ক্রান্তির ডাক দিয়েছিলেন জে পি। ইন্দিরা গান্ধী বিরোধী জোট সেদিন থেকেই দানা বেঁধেছিল, সফলও হয়েছিলেন তারা। ভারতীয় রাজনীতির নয়া ইতিহাস লিখেছিলেন জে পি। দেশে জোট রাজনীতির সূচনা হয়েছিল পাটনা থেকেই। এবার সেই পাটনাতে বসেই বিরোধী ঐক্যে মজবুত করতে চাইছেন দেশের বিরোধী নেতারা। লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পাটনায় বসতে চলছে বিজেপি বিরোধী নেতাদের বৈঠক। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কথায় এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। এই মুহূর্তে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচন, তারপরেই বিরোধীদের বৈঠক হতে পারে বলে খবর। শনিবার নীতীশ জানান, কর্নাটক নির্বাচনের কারণে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলের নেতারা প্রচারে ব্যস্ত। ১৩ মে কর্নাটক বিধানসভার ফলপ্রকাশ, তারপরেই বিজেপি বিরোধী নেতাদের নিয়ে বৈঠকের সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে ক্রমশ।
রাজনৈতিক মহলের অনুমান, উক্তসবৈঠকে মোদী বিরোধী জোট গঠন নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে। যদিও, বৈঠকের স্থান চূড়ান্ত হয়নি এখনও। তবে নীতীশ জানিয়েছেন, পাটনায় বৈঠক হলে তিনি খুশি হবেন। বিরোধী জোট গঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে গত ২৪শে এপ্রিল কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন নীতীশ এবং তার জোটসঙ্গী তেজস্বী। বৈঠক শেষে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, নীতীশ কুমারের কাছে তিনি একটিই অনুরোধ করেছেন। জয়প্রকাশ নারায়ণ বিহার থেকে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। মমতার দাবি ছিল, সেই বিহার থেকেই যদি বিরোধীরা সর্বদলীয় বৈঠক করতে পারেন, তাহলে সেখান থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কার্যত, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সেই অনুরোধ মেনে নেওয়ারই ইঙ্গিত দিয়েছেন নীতীশ। বিরোধীরা মনে করছেন, মোদীকে হারাতে শক্তিশালী বিরোধী জোট গঠন করা একান্ত প্রয়োজন। তারা সেই চেষ্টাই করছেন। বিরোধীদের দাবি, মোদী বিরোধী শক্তি ঐক্যবদ্ধ হলে, ১০০-র নীচে নেমে যাবে গেরুয়া-পার্টির আসনসংখ্যা।