আজ রাজবংশী এলাকায় যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মধ্যাহ্ন ভোজন সারবেন দলিত পাড়ায়৷ সাম্প্রতিক সময়ে উত্তরবঙ্গে রাজবংশী সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার হয়েছে এমন অভিযোগ বারেবারে তুলছে বিজেপি শিবির, তাই এই কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পাহাড় থেকে সাগর পর্যন্ত সফর শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কথা রাখতে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ ফের যাবেন দোমোহনী হাটে। নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে প্রতিদিনই তিনি মিশে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। ময়নাগুড়ির দোমহনি গ্রামে শনিবারের এই আয়োজন ঘিরে সাজো সাজো রব। শুধু মাত্র ২০১৯ই নয় ২০২১ সালে ময়নাগুড়ি বিধানসভায় জেতে বিজেপি। গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই এখনও জমি ধরে রেখেছে কেন্দ্রের শাসক দল। তাই এবার দলীয় অভিযানে এসে গ্রামের প্রত্যন্ত মানুষের সঙ্গে নিবিড় সংযোগের উপর জোর দিচ্ছেন অভিষেক।
তৃণমূলের নব জোয়ার যাত্রায় স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মিলিত হচ্ছেন অভিষেক। শনিবার পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত সারিন্দা শিল্পী মঙ্গলা কান্ত রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন তিনি।
গত বছর ১২ জুলাই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধূপগুড়িতে সভা করতে যাওয়ার পথে ময়নাগুড়ির দোমোহনীর হাট সংস্কারের কথা বলেছিলেন। ওই দিন ধূপগুড়িতে সভা করতে যাওয়ার সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাঁর গাড়ি থামিয়ে তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। তাঁর প্রতিশ্রুতি মতোই সেই হাটটি সংস্কার করে ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় চলতি বছরে। সেই সময়ই তিনি কথা দিয়েছিলেন হাটটি সংস্কার করে দেবেন এবং সেখান থেকেই জেলাপরিষদের সভাধিপতিকে ফোন করে বিষয়টি বলেন। সেই মতো গত বছর ১৫ আগস্ট এই হাটটি সংস্কারের সূচনা হয়। গত ২৪ মার্চ হাটটি ব্যবসায়ীদের জন্য খুলে দেওয়া হল। হাটটি সংস্কার হওয়ায় প্রচুর ব্যবসায়ী উপকৃত হন। রাজ্যসভার এক সাংসদ তহবিল থেকে ২৬ লক্ষ টাকা এবং জেলা পরিষদের তহবিল থেকে ৮৯ লক্ষ ৮১ হাজার ৭৩৫ টাকা ব্যায়ে এই হাটটি সংস্কার করা হয়।