গরম বাড়তেই ফের আকাশছোঁয়া বিয়ারের চাহিদা। শুধুমাত্র এপ্রিল মাসেই বিয়ার থেকে ৪০০ কোটি মুনাফা করেছে রাজ্য। বলা যায়, রাজ্যে কার্যত বিয়ার সংকট তৈরি হয়েছে। এখন চাহিদা যোগানের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।
এপ্রিল মাসেই সর্বকালীন বিয়ার বিক্রি হয়েছে রাজ্যে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে বিক্রি হয়েছে ২৫ লক্ষ কেস। আবগারি দফতরের পরামর্শে চাহিদা অনুযায়ী যোগান বাড়াতে বিয়ার প্লান্ট গুলি ২৪ ঘণ্টা লাগাতার কাজ করে চলেছে। মোটের উপর, ফের মদে আয় বাড়ল রাজ্যের। ২০২২ – ২৩ অর্থবর্ষে মদ বিক্রি করে রাজ্যের মুনাফা হয় ১৬৫০০ কোটি টাকা। ২০২১ – ২২ অর্থবর্ষে তুলনায় যা ৩০ শতাংশেরও বেশি। ২০২২- ২৩ অর্থ বর্ষে সবথেকে বেশি বিক্রি হয়েছে বিয়ার। পরিসংখ্যান বলছে,গতবছরের তুলনায় এ’বছর দ্বিগুণ বিয়ার বিক্রি হয়েছে রাজ্যে। উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বিদেশী মদের বিক্রি। গতবারে তুলনায় দশ শতাংশ বেশি বিক্রি হয়েছে বিদেশী মদ। ২০২২ – ২৩ অর্থ বর্ষে সব থেকে বেশি বিক্রি হয়েছে বিয়ার।
রাজ্যজুড়ে তাপ প্রবাহ। কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি কাছাকাছি পর্যন্ত পৌঁছেছিল। এই তীব্র গরমেও লাভের মুখ দেখাল বিয়ার। এপ্রিল মাস জুড়ে রাজ্যে বিয়ার বিক্রিতে সর্বকালীন রেকর্ড তৈরি হয়েছে, এমনটাই মত আবগারি দফতরের আধিকারিকদের। আধিকারিকদের মতে, বর্তমানে রাজ্যে যে পরিমাণ বিয়ার উৎপাদন হচ্ছে তার থেকে চাহিদা বহুগুণ বেড়েছে। শুধু কলকাতা নয়, জেলার কয়েকটি জায়গায় বিয়ার সংকট পর্যন্ত তৈরি হয়েছে। গতবছর গরমে ১৮ লক্ষ কেস বিয়ার বিক্রি হয়েছিল যা রেকর্ড গড়েছিল। গতবারের বিক্রিকে মাথায় রেখে এবছর রাজ্যের আবগারি দফতর বিয়ার উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে উৎপাদনের পরিমাণ আরও বাড়ানোর কথা বলেছিল। কিন্তু তাতেও চাহিদা মিটছে না।
আবগারি দফতর সূত্রে খবর, বর্তমানে রাজ্যে যে বিয়ার উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি রয়েছে, তাদের তরফে বিয়ার উৎপাদন বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে। আগামিদিনে মাসে ৩০ লক্ষ কেস বিয়ার উৎপাদন হতে পারে। এপ্রিল মাসে এখনও পর্যন্ত ২৫ লক্ষ বিয়ার কেস বিক্রি হয়েছে বলে আবগারি দফতর সূত্রে খবর। প্রায় ৪০০ কোটির মুনাফা রাজ্যের কোষাগারে ঢুকেছে। যা গতবারের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি।