পিএমও-র নাম ভাঙিয়ে কোটি কোটির জালিয়াতি…! যোগীরাজ্যে গ্রেফতার বিজেপি ঘনিষ্ঠ ‘হেভিওয়েট’ সঞ্জয় রাই। প্রধানমন্ত্রী দফতর বা পিএমও’র নাম ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার দায়ে সঞ্জয় রাই নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স। মঙ্গলবার রাতে লখনউ পুলিশের জালে আটক হন অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই। গ্রেফতারির পর রাজ্যজুড়েই তুমুল হইচই শুরু হয়েছে।
এর মাঝেই সামনে এসেছে এক বিস্ফোরক তথ্য, তদন্তে উঠে এসেছে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহাকে ভোটপ্রচারের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা ‘ধার’ দিয়েছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি গত বছরের ডিসেম্বরে, কেন্দ্রীয় মৎস্য, পশুপালন ও দুগ্ধজাত মন্ত্রক সঞ্জয় রাইয়ের সংস্থা যুব গ্রামীণ উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশনকে ২ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়। সেই সঙ্গে ডালমিয়া ফ্যামিলি ট্রাস্ট সহ আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সঞ্জয় রাইয়ের ফাউন্ডেশনে বিপূল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে।
জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা ২০১৪ সালে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর লোকসভা আসনে নির্বাচিত হন, তিনি ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) প্রার্থী আফজাল আনসারির কাছে পরাজিত হন। এরপর জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর তাঁকে ২০২০ সালের আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল হিসাবে নিযুক্ত করা হয়।
মনোজ সিনহা, ১৯৯৬ এবং ১৯৯৯ সালে গাজিপুর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরেও তিনি তার লোকসভা এলাকায় রাজনৈতিকভাবে বেশ সক্রিয় ছিলেন। ২৫ লক্ষ টাকা ভোটের কাজে ‘ধার’ প্রসঙ্গে মনোজ সিনহার এক ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করেছে যে ২০১৫-২০১৬ সাল থেকে রাইয়ের সঙ্গে মনোজ সিনহার কোন যোগাযোগ নেই।
গাজিপুর জেলা বিজেপির সভাপতি ভানুপ্রতাপ সিং বলেন, ‘ধৃত সঞ্জয় রাইয়ের সঙ্গে দলের কোন যোগ নেই, তিনি বিজেপির সদস্যও ছিলেন না’। বারাণসীর এক বিশিষ্ট বিজেপি নেতা বলেছেন, ‘সঞ্জয় রাই দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। যখনই তিনি এখানে আসতেন, দলের নেতারা নিয়মিত তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন’।