আচমকাই প্রবল আতঙ্ক ছড়াল বর্ধমান। পথচলতি মানুষজনকে একের পর এক চপারের কোপ মারল এক নেশাগ্রস্ত যুবক! যার জেরে বুধবার রাতে তটস্থ হয়ে রইল বর্ধমান শহরের বাহিরসর্বমঙ্গলার বাতানপাড়ায়। জখম হয়েছেন এক শিশু সহ ছ’জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ছজনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঝুঁকি নিয়েই অভিযুক্ত যুবক সেখ সফিকে পাকড়াও করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে বর্ধমান থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এলাকাবাসীর মারধরে আহত সেখ সফিকেও ভর্তি করা হয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। স্থানীয় এক বাসিন্দা সেখ কুরবান বলেন, “সেখ সফি রিক্সা চালায়। সন্ধ্যা হলেই নেশায় ডুবে যায়। এর আগেও দু’একবার এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে এমন মারাত্মক নয়।” এলাকার বাসিন্দারা জানান, বুধবার সন্ধেবেলা হঠাৎই প্রথমে পথচলতি মানুষজনের উপর হামলা চালায় সে। পরে বাড়িতে ঢুকে চপার দিয়ে কোপাতে শুরু করে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ। অবশেষে পাড়ার ছেলেরা তাঁকে ধরে ফেলেন। তবুও আটকানো যাচ্ছিল না। তখনই মারধর করা হয়।
এপ্রসঙ্গে বাতানপাড়ার এক বাসিন্দা আসমা বিবি বলেন, “হঠাৎ ছুটে বাড়ির মধ্যে ঢুকে আসে সফি। আমার আর নাতির উপর চড়াও হয়। কোপ মারে এলোপাথাড়ি। নেশার ঝোঁকে করছিল বলেই মনে হয়।” আরেক বাসিন্দা সেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, “দিনে যখন রিক্সা চালায়, তখনও ভাড়াতো ঠিকঠাক নেয়। তাহলে এমন কাণ্ড কেন ঘটাল তদন্ত করে দেখুক পুলিশ।” উল্লেখ্য, বুধবার দুপুরে মালদহের স্কুলের ভরা ক্লাসঘরে ঢুকে পড়েছিল এক বন্দুকবাজ। সে ঘটনায় শিহরিত হয়ে উঠেছিলেন রাজ্যের মানুষ। সেই রাতেই বর্ধমান শহরে যে ভাবে চপার নিয়ে হামলা চালাল এই যুবক তাতে স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার মানুষ। ডিএসপি ট্রাফিক(২) রাকেশ চৌধুরী জানান, আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। সেখ সফি নামে ওই অভিযুক্তকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে মানসিক বিকারগস্ত কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
