ঘুঘুমারিতে সভায় কেন দলের এই কর্মসূচি, কেনই বা হচ্ছে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি কেনই বা নির্বাচনের আগে এই ভোটগ্রহণ পর্ব, তার কারণ ব্যাখ্যা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তিনি বললেন, ‘কেউ যদি নতুন করে রাজনীতিতে এসে পঞ্চায়েতে জেতে, সার্বিকভাবে আমার এলাকার গ্রাম উপকৃত হবেন। আপনি তাঁকে মান্যতা দিয়ে যদি আমাদের কাছে মতামত জানান, তৃণমূল কংগ্রেস সব শক্তি প্রয়োগ করে গণতান্ত্রিকভাবে তাঁকেই জেতাবে’।
কেন কোচবিহার থেকে যাত্রা শুরু হল তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল দিনহাটায় ছিলাম। সেখান থেকে সাহেবগঞ্জে সভা করেছি। তারপর সিতাই, গোসাইমারি, শীতলকুচি গেছি। তারপর রাতে মাথাভাঙায় গিয়েছি। সেখানে অধিবেশন ছিল। আজ এখানে। মানুষ যে সংখ্যায় আসছেন, এটা প্রমাণ করে তৃণমূলের নবজোয়ার এসেছে। আজ এ কর্মসূচি স্বার্থক’।
আগামী দিনে পঞ্চায়েত স্তরে প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেস কিংবা তৃণমূলের কোনও নেতা করবে না, প্রার্থী আপনারা ঠিক করবেন বলে মন্তব্য করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘সাধারণত দেখবেন, যে দল ক্ষমতায় থাকে, সে দল কোনওদিন রাস্তায় নামে না। যারা জনসংযোগ যাত্রা করে, তারা সাধারণত বিরোধী হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আপনারা তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী করেছেন। আমরা পারতাম, জেলাস্তর, ব্লক স্তরে নেতাদের থেকে মতামত নিয়ে বদ্ধ করে বসে প্রার্থী নির্ধারণ করতে। কিন্তু কেন এসেছি? আমি বরাবরই বলেছি, মানুষ যাঁকে সার্টিফিকেট দেবে, তাঁকেই টিকিট দেব। মানুষ ঠিক করবে প্রার্থী কে হবেন’।