মঙ্গলবার আইপিএলে মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাত টাইটান্স ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ঘরের মাঠে মুম্বইকে কার্যত দুরমুশ করল গুজরাত। রোহিত শর্মার দলকে ৫৫ রানে হারিয়ে দিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়ারা। এদিন প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান তোলে গুজরাত। ওপেনিংয়ে ভাল খেলেন শুভমন গিল। পরে ডেভিড মিলার, অভিনব মনোহর এবং রাহুল তেওটিয়ার সৌজন্যে স্কোর দুশো পেরিয়ে যায়। জবাবে নেহাল ওয়াধেরা বাদে মুম্বইয়ের কোনও ব্যাটারই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। বলে গুজরাতের হয়ে ভাল খেলেন নুর আহমেদ। মুম্বইয়ের ইনিংস শেষ হয় ১৫২-৯ স্কোরেই। মুম্বইয়ের ইনিংস শুরু করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে ফিরে যান রোহিত শর্মা। হার্দিক পাণ্ড্যের বলের গতি বুঝতে পারেননি। তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে বল আকাশে উঠে যায়। ক্যাচ ধরেন হার্দিকই। সেখান থেকে ক্যামেরন গ্রিন এবং ঈশান কিশন হাল ধরেছিলেন। গ্রিনের মারকুটে ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে দ্রুত রানও উঠছিল। কিন্তু তাল মেলাতে গিয়ে উইকেট খোয়ালেন ঈশান। রশিদ বলে তাঁর ক্যাচ ধরেন লিটল। একই ওভারে দুরন্ত বলে রশিদ ফিরিয়ে দেন তিলক বর্মা।তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মুম্বই। তার মাঝেই নূর আহমেদের বল বুঝতে না পেরে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন গ্রিন। সেই ওভারেই ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন টিম ডেভিড। ভরসা ছিল শুধু সূর্যকুমার যাদবের উপরেই। নূরের হাতে তিনি কট অ্যান্ড বোল্ড হতেই মুম্বইয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। পরের দিকে নেহাল ওয়াধেরা চালিয়ে খেলার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। তার আগে শুভমন গিল, ডেভিড মিলার এবং অভিনব মনোহরের অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে ভর করে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দাপট দেখায় গুজরাত। শেষ দিকে নেমে ঝোড়ো ইনিংস খেলেন রাহুল তেওটিয়াও। শেষ পাঁচ ওভারে ৭৭ রান তোলে গুজরাত।
এদিন বোলিংয়ে শুরুটা ভালই করেছিল মুম্বই। প্রথম ওভারে মাত্র চার রান দেন অর্জুন তেন্ডুলকর। নিজের দ্বিতীয় ওভার বল করতে এসেই তিনি তুলে নেন ঋদ্ধিমান সাহার উইকেট। অর্জুনের বল লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে যাচ্ছিল। শেষ মুহূর্তে গ্লাভসে লেগে বল উইকেটকিপারের হাতে জমা পড়ে। আম্পায়ার আউট দিলে ঋদ্ধি রিভিউ নেন। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি। দেখা যায়, সূক্ষ্ম ভাবে বল তাঁর গ্লাভস স্পর্শ করেছে।শুরুতেই উইকেট পড়ে যাওয়ায় নিজেকে উপরে তুলে আনেন হার্দিক। চালিয়ে খেলছিলেন প্রথম থেকেই। যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছিলেন শুভমন গিল। ক্যামেরন গ্রিনের একটি ওভার থেকে ১৭ রান আসে। কিন্তু সপ্তম ওভারে হার্দিককে ফেরান পীযূষ চাওলা। ছক্কা মারতে চেষ্টা করা হার্দিকের ক্যাচ বাউন্ডারিতে ধরেন সূর্যকুমার যাদব।মাঝে কুমার কার্তিকেয়র একটি ওভার বাদ দিয়ে গুজরাতের রান তোলার গতি কমে গিয়েছিল। ফিরে যান বিজয় শঙ্কর। অভিনব মনোহর ক্রিজে আসার পর থেকে তবু রান তোলার গতি একটু বাড়তে থাকে। অর্ধশতরান করে তার আগেই ফিরে গিয়েছিলেন শুভমন গিল (৫৬)। মনোহর এবং ডেভিড মিলার মিলে মুম্বই বোলারদের উপরে চাপ বাড়াতে থাকেন। ২১ বলে ৪২ করে রিলি মেরেডিথের বলে ফিরে যান মনোহর। তত ক্ষণে মিলারের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়া হয়ে গিয়েছে। তেওটিয়া নেমে প্রথম বলেই ছয় মারেন। উল্টো দিকে আগ্রাসী খেলা চালিয়ে যান মিলারও। তাঁদের দাপটেই দুশোর গণ্ডি পেরিয়ে যায় গুজরাতের ইনিংস। এই ম্যাচ জিতে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল গুজরাত। ৭ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে মুম্বই রয়েছে সপ্তম স্থানে।
