একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাসের পাঠক্রম থেকে মুঘল সাম্রাজ্যের অধ্যায়। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি) দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস, সিভিকস, বিজ্ঞানহিন্দি পাঠ্যক্রম সহ দশম এবং একাদশ শ্রেণির সিলেবাসেও বিরাট রদবদল করেছে। এই নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যদিও সিলেবাস বদলে ‘রাজনীতি’ খুঁজে পাচ্ছেন না এনসিইআরটি আধিকারিকরা। তবে কেরল স্টেট কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এসসিইআরটি) মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এনসিইআরটি একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাস থেকে যে অংশগুলি মুছে দিয়েছে পড়ুয়াদের পড়ানো হবে।
এসসিইআরটি-এর সূত্রে খবর কেরল স্টেট কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং সিলেবাস কমিটি এই অবস্থান নিয়েছে যে মুছে ফেলা অংশগুলি, প্রধানত ইতিহাস সম্পর্কিত বিষয়গুলি বাদ দেওয়া পড়ুয়াদের পক্ষে ক্ষতিকর। রাজ্য তাদের সকল পড়ুয়াকে সিলেবাসে বাদ যাওয়া কিছু কিছু অংশ পাঠ্যক্রমের অন্তর্গত করবে। সেই অনুসারেই এসসিইআরটি কেরালায় পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। কমিটি এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব শিক্ষামন্ত্রীকে দিয়েছে বলেও, সূত্র জানিয়েছে।
যদিও এনসিইআরটি ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাসে আমূল বদল এনেছে, কেরালা শুধুমাত্র একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির জন্য এনসিইআরটি পাঠ্যপুস্তকের উপর নির্ভর করে। অন্যান্য শ্রেণিতে যে বদল আনা হয়েছে তা রাজ্যের পড়ুয়াদের কোনভাবেই প্রভাবিত করবে না। সরকার বলছে, পড়ুয়াদের ওপর পড়াশুনার চাপ কমানোর পাশাপাশি ‘ডুপ্লিকেশন এবং ওভারল্যাপিং’ এর সমস্যা দূর করতে সিলেবাসে এই বদল করা হয়েছে। তবে সমালোচকরা দাবি করেন যে, মূলত সমাজ বিজ্ঞান এবং ইতিহাসের বইয়ে্র এই কাটছাঁটে রয়েছে রাজনীতির গন্ধ।