তিনি অতীতের ছাত্রনেতা। গ্রাজুয়েশনের সময় পাঠ্যসূচির সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর চারবার ফেল করে ৩ বছরের কোর্স ৭ বছরে শেষ করেন। এবং সেই সঙ্গেই অর্জন করেন ‘ফেলুদা’ তকমা। সম্প্রতি বাবার দেওয়া ২২ লাখি বিলাসবহুল গাড়ি চড়ে আরও একবার বিতর্কের শিরোনামে চলে এসেছিলেন তিনি। তার রেশ কাটতে না কাটতেই লেনিনের জন্মবার্ষিকীতে নিজের জন্মদিন পালন করে আবারও তীব্র নিন্দার মুখে পড়লেন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ।
প্রসঙ্গত, লেনিনের জন্মদিনে দু’টি টিভি চ্যানেলে কেক কেটে শনিবার জন্মদিন পালন করেন শতরূপ ঘোষ। টিভি চ্যানেলে জন্মদিনের সেই ছবি শতরূপের পরিবারের তরফে ফেসবুকে দিতেই নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। নেটিজেনদের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, কোন জন্মদিনটি আসল? ফেসবুকে পরিচিত বামপন্থীরাও তীব্র কটাক্ষ করে জানতে চেয়েছেন, নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা এফিডেভিটের জন্মতারিখ সত্যিই কি ভুয়ো?
আলিমুদ্দিনের বহু নেতা থেকে শুরু করে একাধিক বামপন্থী ব্যক্তিত্ব একসুরে শতরূপের ‘এযুগের লেনিন’ সাজতে চাওয়াকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। পার্টি নেতার এমন ‘জন্মদিন জালিয়াতি’ করা নিয়ে যেমন সিপিএম রাজ্য কমিটির এক নেতা রবিবার দাবি করেন, ‘প্রমোদ দাশগুপ্ত-অনিল বিশ্বাসরা যে ত্যাগ ও পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে বাংলায় সিপিএমকে দাঁড় করিয়েছিলেন, তা এই সমস্ত বালখিল্য যুবনেতাদের আচরণে শূন্যে পৌঁছে গেল।’
প্রশ্ন উঠছে, ‘রাস্তায় নেমে বামপন্থী আদর্শ নিয়ে লড়াই ছেড়ে বিজেপির প্রচার করা টিভি চ্যানেলে জন্মদিন পালন করা কি কোনও সত্যিকারের সিপিএম কর্মীর শোভা পায়?’ এখানেই শেষ নয়। লেনিনের জন্মদিন ২২ এপ্রিল মিলিয়ে নিজের জন্মদিন ফেসবুকে দেওয়া আর কসবা কেন্দ্রে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন কমিশনে তাঁর জন্মতারিখ ১৯৮৬ সালের ২২ মার্চ দেওয়ায় তীব্র সমালোচিত হয়েছেন শতরূপ। কারণ, ২২ এপ্রিল যদি শতরূপের জন্মদিন হয় তা হলে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া তথ্য ভুল। প্রশ্ন উঠছে, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী কমিশনকে ভুয়া তথ্য দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না কেন?