টানটান উত্তেজনাপূর্ণ সেমিফাইনালে ব্রাইটনকে হারিয়ে এফসি কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। সেই ম্যাচে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির মুখোমুখি হবেন তাঁরা। রবিবার ওয়েম্বলিতে দুর্দান্ত শুরু করেছিল ব্রাইটন। ম্যাচের সাত মিনিটে আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের ফ্রি-কিক কোনও মতে বাঁচান ম্যান ইউয়ের গোলরক্ষক দাভিদ দা হিয়া। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেন অ্যান্টনি মার্শিয়ালরা। ১৭ মিনিটে ব্রুনো ফের্নান্দেসের শট বাঁচান ব্রাইটনের গোলরক্ষক রবার্ট স্যাঞ্চেস। গোলশূন্য ভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে, ৫৬ মিনিটে ফের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ব্রাইটন। এ বারও ম্যান ইউয়ের ত্রাতা হয়ে ওঠেন দা হিয়া। চার মিনিট পরে সলি মার্শের শটও বাঁচান তিনি। ৬৪ মিনিটে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন মার্শিয়াল। কিন্তু তাঁর শট বাঁচান ব্রাইটনের গোলরক্ষক। নির্ধারিত সময়েও নিষ্পত্তি না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তাতেও ফয়সালা হয়নি। টাইব্রেকারে সাডেন ডেথে ব্রাইটনের মার্শ ক্রসবারের উপর দিয়ে বল উড়িয়ে দেন। ভিক্টর লিন্ডেলফ গোল করতেই ৭-৬ গোলের ব্যবধানে ব্রাইটনকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় রেড ডেভিলসরা।
প্রসঙ্গত, সেভিয়ার কাছে ০-৩ গোলে বিপর্যস্ত হয়ে ইউরোপা লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে ব্রাইটনকে হারিয়ে এফএ কাপের ফাইনালে উঠতে পেরে খুশি ম্যান ইউ ম্যানেজার এরিক টেন হ্যাগ। তিনি বলেছেন ‘‘সেভিয়ার বিরুদ্ধে আমরা খুব বাজে খেলেছিলাম। আমি খুশি এফএ কাপের সেমিফাইনালে ছেলেরা দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটানোয়।’’ দ্য হিয়ার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘দল হারলে গোলরক্ষককেই কাঠগড়ায় তোলা হয়। সেভিয়া ম্যাচের পরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ব্রাইটনের বিরুদ্ধে অনবদ্য খেলে দ্য হিয়া নিজেকে আরও একবার প্রমাণ করেছে।’’ দলের ফুটবল নিয়ে আশাবাদী টেন হ্যাগ। ‘‘সেভিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ দেখে যতটা হতাশা হয়েছিলাম, এই ম্যাচ দেখে আমি নতুন ভাবে চাঙ্গা হয়ে গিয়েছি। শেষ পর্যন্ত সকলে লড়াই করেছে। ম্যান ইউ ফুটবলারদের থেকে আমি এমন ফুটবলই আশা করি। আশা করব, মরসুমে এই ট্রফি জিতে আমরা সমর্থকদের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারব। সকলেই জানেন, ম্যান সিটি কতটা শক্তিশালী দল। বিশেষ করে, দলে আর্লিং হালান্ডের মতো বিপজ্জনক ফুটবলার রয়েছে। তবে নিজেদের পিছিয়ে রাখছি না। ট্রফির দ্বৈরথে আমাদের দলও কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না’’, জানিয়েছেন ডাচ কোচ।