জনসংযোগ যাত্রার শুরুতেই কোচবিহারের দিনহাটা থেকে বিরোধী দলগুলিকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীর সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করতে গেলাম। উনি দফতরে থেকেও দেখা করেন নি। কিন্তু আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। আপনার টাকা কেন্দ্র সরকার ছাড়তে বাধ্য। কোনও মন্ত্রীর ক্ষমতা নেই টাকা আটকে রাখার। রাস্তা, বাড়ি, জল এই ইস্যু নিয়ে ভোট হবে। নিজের পঞ্চায়েত নিজেকেই গড়তে হবে’।
অভিষেক বলেন, ‘১০০ দিনের কাজের টাকা যেন বাংলা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। যাঁরা ২০১৯ সালে এখানে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন তাঁরা ১০০ দিনের কাজ, রাস্তা দেখে ভোট দিয়েছিলেন? মোদীর ৫৬ ইঞ্চি দেখে ভোট দিয়েছিলেন। আগামী দিনে ভোট দেবেন জল, কল দেখে। আপনার প্রার্থী হবে, আপনার পাহারাদার। ৬০ দিন ছেড়ে দিন, রাস্তায় আমাদের মতো তাবু খাটিয়ে ৬ দিন থাকুন, তারপর বুঝব’।
তিনি আরও বলেন, ‘রাস্তার কাজে এখানে হাত দেওয়া হচ্ছে। পথশ্রীতে কাজ শুরু হয়েছে। যারা ব্যালটে ভোট দিতে পারছেন না তারা এক ডাকে অভিষেকে নির্ভয়ে ফোন করে জানান৷ মানুষ যাকে সার্টিফিকেট দেবে, সেই হবে প্রার্থী। গোপন ব্যালটে ভোট হবে৷ মানুষ যাকে চাইবে, তাকেই আমরা জেতাব৷ ৩৩৪৩ পঞ্চায়েতে আমি যাব। মানুষের পঞ্চায়েত গড়েই ছাড়ব। কষ্ট করে যাতে দফতরে যেতে না হয় তাই করব’।
অভিষেক জানান, ‘পঞ্চায়েত যথাযথ না থাকলে উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয়। আমরা শান্তিপূর্ণ, অবাধ, গণতান্ত্রিক ভোট চাই। আপনার বুথে কে প্রার্থী হবে সেটা তৃণমূল কংগ্রেস ঠিক করে দেবে না৷ আপনি যাকে চাইবেন তাকেই করা হবে৷ প্রগতিশীল পঞ্চায়েত গড়তে, উন্নয়ন করতে দলমত নির্বিশেষে যাতে কাজ করতে পারেন সেটা দেখতে হবে’।