সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করে কুণাল ঘোষ রাজ্যের বিভিন্ন প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আদালতের প্রতি আমাদের পূর্ণ সম্মান এবং আস্থা আছে। বিচারপতিদের আমরা পূর্ণ সম্মান করি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তিনি কিছু বলেছেন, পাল্টা আমরা কিছু বলেছি। সেটা সুপ্রিম কোর্টের নজরে এসেছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির প্রতি পূর্ণ সম্মান আছে, তিনি যতক্ষণ মামলা সংক্রান্ত যেকোনও বিষয় বলছেন, সেগুলো আমরা মাথা পেতে স্বীকার করছি। কিন্তু কিছুক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে তিনি মহামান্য বিচারপতির পদের মিস ইউজ করছেন। তিনি এমন কিছু মন্তব্য করছেন, যাতে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট বলে মনে হয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, বিষয় বহির্ভূত মন্তব্যের ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিবাদ ছিল। কিন্তু, তার মানে এই নয় যে আমরা ওঁকে অসম্মান করছি। বাস্তবমুখী অবজাভেশন সুপ্রীমকোর্ট দিয়েছেন। এটার প্রয়োজন ছিল’।
সোমবার কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। এই বৈঠক প্রসঙ্গে তইই বলেন, ‘এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নিতীশ কুমার এবং তেজস্বী যাদব নিজেদের বক্তব্য রেখেছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষের মহাজোট তৈরির লক্ষ্যে এগোচ্ছেন। তিনি তো বিকল্প শক্তির ভরকেন্দ্র বটেই। কে বড়, কে আগে সেটা না দেখে নো ভোট টু বিজেপির লক্ষ্যে সবাই এগোচ্ছেন। সে বিষয়েই এদিন আলোচনা হয়েছে’।
মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ কর্মসূচি। কোচবিহার থেকে এই কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে। কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সবাই একসঙ্গে এগোচ্ছেন। তৃণমূলের মধ্যে কোনও সমস্যা নেই’।
তিনি আরও বলেন, ‘কংগ্রেস, সিপিএম শূণ্য। বিজেপি একটা দল তাঁদের ফেসবুকে পোস্ট করে বলতে হয় কমিটি গঠন করার জন্য লোক ডাকতে হয়। এদের কাছে সংগঠন গরুর গাড়ির হেডলাইটের মতো। এখানে পাল্লা দিতে পারছে না বিরোধীরা। দেশের বৃহত্তম এবং অভিনবতম কর্মসূচি। এই কর্মসূচির পর বিরোধীদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না’।