পরপর পাঁচ ম্যাচে হারের ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে দিল্লী ক্যাপিটালস। সোমবার চলতি আইপিএলে তাদের দ্বিতীয় জয় তুলে দিল তারা। ব্যাটে-বলে আপ্রাণ লড়েও হায়দ্রাবাদকে জেতাতে পারলেন না অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দর। দিল্লী ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হেরে গেল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। প্রথমে ব্যাট করে দিল্লী তুলেছিল ১৪৪-৯। জবাবে হায়দ্রাবাদ থেমে গেল ১৩৭-৬ রানে। এদিন বল হাতে প্রথমে এক ওভারে তিনটি উইকেট নিয়েছিলেন ওয়াশিংটন। ব্যাট হাতে ২৪ রানে অপরাজিত রইলেন শেষ পর্যন্ত। তাঁর লড়াই দাম পেল না। বাজিমাত করল দিল্লী। আগের ম্যাচে কলকাতাকে হারিয়েছিল তারা। সোমবার প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচে জিতলেন ওয়ার্নাররা। নিলামে ১৩ কোটি টাকা দিয়ে হায়দরাবাদ কিনেছে হ্যারি ব্রুককে। কিন্তু ইডেন গার্ডেন্সে শতরান বাদে বাকি ম্যাচগুলিতে ব্যাট একেবারেই জ্বলে ওঠেনি। দিল্লীর বিরুদ্ধে অনরিখ নোখিয়ার বলে ল্যাপ স্কুপ করতে গেলেন। নোখিয়া স্লোয়ার দিয়েছিলেন। তাতেও ব্যাট ঠেকাতে পারেননি। বল সরাসরি স্টাম্প ভেঙে দেয়। দ্বিতীয় উইকেটে মায়াঙ্ক আগরওয়াল এবং রাহুল ত্রিপাঠী জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন। বেশ এগোচ্ছিলও সেই জুটি। কিন্তু ইশান্ত শর্মার একটি নির্বিষ বলে চালাতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিলেন ত্রিপাঠি।
এরপর হায়দ্রাবাদের কোনও ব্যাটারই সেভাবে দাঁড়াতে পারলেন না। আইপিএলে খেলতে আসার আগে দারুণ ছন্দে ছিলেন আইডেন মার্করাম। কিন্তু প্রতিযোগিতায় নেমে তাঁর ছন্দপতন হয়েছে। কোনও ম্যাচেই রান পাচ্ছেন না। হেনরিখ ক্লাসেন তবু লড়াই দিয়েছিলেন। কিন্তু বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় কোনও লাভ হল না। উল্লেখ্য, এদিন হায়দ্রাবাদের মাঠে ডেভিড ওয়ার্নারকে খেলতে দেখা গেল অন্য জার্সিতে। ওয়ার্নারকে হায়দ্রাবাদের দর্শকরা অনেক আগে থেকেই চেনেন। এই দলকে আইপিএল ট্রফি দিয়েছেন তিনি। একটা সময় ভুরি ভুরি রান করেছেন। সেই ওয়ার্নার এ দিন দিল্লীর জার্সিতে অধিনায়ক হয়ে নেমেছিলেন। তবে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারলেন না। ২০ বলে মাত্র ২১ রান করে ফিরলেন তিনি। এদিন ব্যাট করতে নেমে দিল্লী প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায়। তৃতীয় বলে ভুবনেশ্বর কুমার ফেরান ফিল সল্টকে। এর পর ওয়ার্নার এবং মিচেল মার্শ মিলে কিছুটা পরিস্থিতি সামাল দেন। মার্কো জানসেনের প্রথম ওভারেই তাঁকে চারটি চার মারেন মার্শ। ১৫ বলে ২৫ রানে টি নটরাজনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান অজি অলরাউন্ডার। দুর্দান্ত বল করলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। এক ওভারে তিনি তিন জনকে আউট করলেন। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওয়ার্নার, চতুর্থ বলে সরফরাজ খান এবং ষষ্ঠ বলে আমন খানকে ফেরালেন। এক মাত্র অক্ষর প্যাটেল (৩৪ বলে ৩৪) কেউই দাঁড়াতে পারলেন না দিল্লীর হয়ে। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ২১ রান দিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেটও (মায়াঙ্ক, মার্করাম) তুলে নেন অক্ষর। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন তিনিই।