একের পর এক মামলা, সাজা প্রাপ্তি। সেই সাজার জেরে সাংসদ পদ খোয়ানো থেকে শুরু করে সরকারি বাসভবনও খুইয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সব মিলিয়ে রাহুলের রাজনৈতিক কেরিয়ারের পক্ষে সময়টা মোটেও ভাল যাচ্ছে না। তবে মন খারাপ করতে নারাজ রাহুল। বরং বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি জানান, বাড়ি কেড়ে নিয়ে ভালই করেছে বিজেপি। একটা বাড়ির জায়গায় এখন হাজার হাজার মানুষ নিজের বাড়ির দরজা খুলে দিয়েছেন তাঁর জন্য। সাংসদ পদ খোয়ানোর কারণে সরকারি বাসভবন ছাড়ার পরই সাধারণ মানুষের হাজার হাজার চিঠি পেয়েছেন। সকলেই তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তাঁদের বাড়িতে এসে থাকার জন্য। সকলের কাছ থেকে এই ভালবাসা পেয়ে যারপরনাই খুশি রাহুল।
মোদী পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেন সুরাটের বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদী। সেই মানহানি মামলাতেই গত মাসে রায় দেয় সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয় রাহুলকে। আর দুই বছরের সাজা পাওয়ার কারণেই পরেরদিন সাংসদ পদ খোয়ান রাহুল গান্ধী।
সাংসদ পদ খোয়ানোর পরই সরকারি বাসভবনে থাকার অধিকার হারান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। লোকসভা হাউসিং প্য়ানেলের তরফে গত রবিবারের মধ্যে রাহুল গান্ধীকে সরকারি বাংলো ফাঁকা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গত ২৭ মার্চ তাঁকে এই নোটিস পাঠানো হয়। এরপরে শনিবারই, গত ২২ এপ্রিল মধ্য দিল্লির তুঘলক লেনে অবস্থিত সরকারি বাংলো ফাঁকা করে দেন রাহুল গান্ধী। আপাতত তাঁর ঠিকানা মধ্য দিল্লির ১০ জনপথ রোডের বাংলো, যেখানে তাঁর মা তথা কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী থাকেন।
সরকারি বাসভবন হাতছাড়া হওয়ার পর কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী রবিবার বলেন, ‘সাধারণ মানুষের মনেই আমার বাড়ি। তাই আলাদাভাবে আর কোনও বাড়ির প্রয়োজন নেই আমার’। একইসঙ্গে বিজেপি ও আরএসএসের চিন্তাধারাকে আক্রমণ করে বলেন, ‘ওরা হিংসা ও ঘৃণা ছড়াতেই বিশ্বাসী। আমাদের দল বিনা ভয়ে লড়াই করবে এবং বিজেপির যাতে হার হয়, তা নিশ্চিত করবে’।