ফের বড়সড় বিতর্কের কেন্দ্রে বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশ। এবার যোগীরাজ্যে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক ভুয়ো চিকিৎসক। তাঁদের হাতে পড়ে মৃত্যু হয় এক অন্তঃসত্ত্বার। তদন্তে জানা গিয়েছে, চিকিৎসক সেজে এতদিন কারবার চালিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, যে হাসপাতালে ভর্তি করে চলছিল চিকিৎসা, কোনও লাইসেন্সই নেই তার। ফৌজদারি ষড়যন্ত্র এবং জালিয়াতির অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে দু’জন নিজেদের চিকিৎসক হিসাবে পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করে বেড়াতেন। কিন্তু এত দিন তা জানতেন না কেউই। বহাল তবিয়তে নকল ডিগ্রি নিয়ে প্রতারণার কারবার চালিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১১ই এপ্রিল সায়েমা বেগম নামে সন্তানসম্ভবা এক মহিলা ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। ১২ই এপ্রিল মৃত্যু হয় সায়েমার। পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। তদন্তের নির্দেশ দেন জেলাশাসক। দেখা যায়, নিজেদের চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে সায়েমার চিকিৎসা করেছিলেন যে দু’জন, তাঁদের কারও চিকিৎসা করার প্রয়োজনীয় ডিগ্রিই নেই।
এরপর জানা যায়, যে হাসপাতালে সায়েমাকে ভর্তি করে চিকিৎসা করা হচ্ছিল, তারও কোনও বৈধ লাইসেন্স নেই। অর্থাৎ, ডাক্তার এবং হাসপাতাল, দু’টিই ভুয়ো। পুলিশ হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন দুই ভুয়ো চিকিৎসকও। পুলিশের অভিযানের সময় ওই ভুয়ো হাসপাতালে যে ক’জন রোগী ভর্তি ছিলেন, তাঁদের তড়িঘড়ি অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তার পরেই হাসপাতালটি সিল করে দেয় প্রশাসন। এবিষয়ে মুখ খুলেছেন বরেলির চিফ মেডিক্যাল অফিসার চিকিৎসক তারান্নুম রাজা। ‘‘যে হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে, তার কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না। আমরা ১২ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলাম। চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করছিলেন যে দু’জন তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি’’, জানিয়েছেন তিনি।