সামনেই বিধানসভা নির্বাচন কর্ণাটকে। গদি বাঁচাতে মরিয়া শাসকদল বিজেপি। ইতিমধ্যেই সে রাজ্যে পদ্মশিবিরের মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব। আর এবার নতুন করে সমস্যা বাড়াল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার বক্তব্য। সম্প্রতি কর্ণাটকে এক নির্বাচনী জনসভায় বিজেপি সভাপতি নাড্ডা বলেন, কর্ণাটক প্রধানমন্ত্রী মোদীর আশীর্বাদ ধন্য। মোদীর আশীর্বাদ আছে বলেই সে রাজ্যের একের পর এক উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, কর্ণাটকের উপর যাতে মোদীর আশীর্বাদ বজায় থাকে, তা নিশ্চিত করতে ফের বিজেপির জয় দরকার। বিজেপি জয়ী হলেই মোদীর আশীর্বাদ থেকে যাবে। নাড্ডার এহেন মন্তব্যকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছে সে রাজ্যের বিরোধী দল। উঠেছে বিতর্কের ঝড়।
প্রসঙ্গত, বিরোধীদের স্পষ্ট অভিযোগ, যে রাজ্যে বিজেপি হেরে যায়, সেখানে মোদী সরকার উন্নয়নের জন্য সাহায্য করে না। আর্থিকভাবে সেই রাজ্যকে চাপে রাখা হয়। সাফ কথায় কেন্দ্রের সাহায্য পেতে হলে, বিজেপিকেই জয়ী করতে হবে। এই প্রবণতা রাজ্যে রাজ্যে দেখা যায়, বাংলা যার অন্যতম এক উদাহরণ। অ-বিজেপি রাজ্যগুলির চেয়ে বিজেপি, বিজেপি শাসিত রাজ্যে অর্থ বরাদ্দ এবং উন্নয়ন অনেক বেশি হয়। বিরোধীদের বক্তব্য, রাজ্যের কাজে রাজ্য সরকারকে কেন্দ্র সরকার সবরকম সাহায্য করবে। এটাই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো। সংবিধান এটাই বলছে। সংবিধান দেশবাসীকে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার ক্ষমতাও দিয়েছে। তবে কি উন্নয়ন বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে ভোট আদায় করাই মূল উদ্দেশ্য গেরুয়াশিবিরের? উঠছে প্রশ্ন।