ইয়েদুরাপ্পাকে সরিয়ে বোম্বাইকে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর পরেই লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের ইস্যুতে জলঘোলা শুরু হয়েছিল। ভোটের আগে সেই রেশ এসে পড়েছে রাজনীতির ময়দানে। কর্নাটকের একটা বড় অংশের ভোটার এই লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়। তাই তাদের চটাতে খুব একটা সাহস দেখাবে না বিজেপি।
বোম্মাইয়ে মুখ্যমন্ত্রী বসানোর আগে এক প্রকার কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন ইয়েদুরাপ্পা। প্রকাশ্যেই এই ঘটনা ঘটেছিল। তারপর থেকেই চাপ বেড়েছে বিজেপির অন্দরে। ভোট যত এগিয়ে আসছে বিজেপিকে কাবু করতে এই লিঙ্গায়েত ইস্যুকেই সামনে এনেছে কংগ্রস। এবং বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে এই লিঙ্গায়েত ইস্যুকেই প্রকাশ্যে আনছে তারা।
বিজেপি লিঙ্গায়েত সম্প্রদায় বিরোধী বলে প্রচার করতে শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসকে চুপ করাতে বিজেপির অন্দরেও লিঙ্গায়েত ইস্যু জেগে উঠেছে। বিজেপির অন্দরে লিঙ্গায়েত মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে সুর চড়েছে। কর্নাটকে লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়কে প্রভাবশালীই বলা হয়ে থাকে। রাজ্যের ১৭ শতাংশ ভোটার লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের। এবং রাজনীিততে এরা বেশ প্রভাবশালী।
যদিও বোম্বাই দাবি করেছেন বিজেপির অন্দরে এমন কোনও দাবি ওঠেিন। লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের মুখ্যমন্ত্রী করা হবে এমন কোনও পরিকল্পনা বিজেপির অন্দরে নেই। কংগ্রেস ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। যদিও ইয়েদিরাপ্পা কিন্তু সেই জল্পনা উড়িয়ে দেননি। এদিকে ভোটের আগে বিজেপিতে পুরো ধস নেমেছে। একের পর এক বিজেপি নেতা দল ছাড়তে শুরু করেছেন তার মধ্যে প্রথম সারির দুই লিঙ্গায়েত নেতাও রয়েছেন।
লিঙ্গায়েত নেতা জগদীশ সত্তার এবং লক্ষ্মণ সাভেদী বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে। তার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বিজেপি এই দুই প্রবীণ নেতাকে টিকিট দিতে চায়নি। টিকিট না পেয়েই তারা দলবদল করেছেন বলে দাবি করেছেন এমনই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
জগদীশ সত্তার কংগ্রেসে যোগ দিতেই কংগ্রেস শিবিরের পক্ষ থেকে লিঙ্গায়েত ইস্যুতে সরব হয়েছে। তারা দাবি করেছে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের কেউ মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন। তারপরেই তারা অভিযোগ করেছেন বিজেপি লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের সঙ্গে সঠিক আচরণ করছে না। অর্থাৎ লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়কে সামনে রেখেই ভোটের ময়দানে বিজপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস।