অস্বস্তিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির আইনজীবী আবু সোহেল। গত বছরের ২৪ নভেম্বরে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে সাম্প্রদায়িক এবং উস্কানি মূলক ভাষণের অভিযোগ করেন তিনি। এ ব্যাপারে আইনজীবী আবু সোহেলের বক্তব্য, ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে এম জোসেফ গত বছর নভেম্বরেই এক নির্দেশে জানিয়েছেন, দেশের মধ্যে কোথাও কেউ সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বা বিদ্বেষ মূলক ভাষণ দিলে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করতে হবে পুলিশকে। আমার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এফআইআর দায়ের করলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় তদন্ত একচুলও এগোয়নি। তাই বাধ্য হয়েই সর্বোচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি’।
আবু সোহেলের এফআইআর-সহ মোট ২০টি তদন্তে ইতিমধ্যেই স্থগিতাদেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই স্থগিতাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছেন আইনজীবী। তবে ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি না হওয়ায় এবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন আবু সোহেল।
রাজ্যের করা ২৬ এফআইআরের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার মন্তব্য ছিল, ‘যেহেতু তিনি বিরোধী দলের নেতা। মানুষের ভোটে নির্বাচিত, তাঁর সন্দেহ আদালত সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিতে পারে না। পুলিশ নিজে অথবা একদল মানুষের প্ররোচনায় একের পর এক অভিযোগ এনে, জনগণের প্রতি তাঁর যে কর্তব্য, তা স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে।’ অ্যাডভোকেট জেনারেল , সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, অন্তত সাতবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুকে। সময়, তারিখ যেদিন তিনি আসবেন সেটাই জানতে চাওয়া হয়। সিআরপিসি ৪১ এ নোটিশে সমস্যা কোথায়? রক্ষাকবচ তাকে আগেই দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে কেন নতুন করে আবার সুবিধা পাবেন?।