সাম্প্রতিক কালে বারবারই বঙ্গভঙ্গের দাবি তুলে আসছে বিজেপি। একদিকে যেমন উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য ঘোষণার দাবি তুলে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন পদ্ম বিধায়করা। তেমনি কামতাপুর থেকে জঙ্গলমহল— আলাদা আলাদা রাজ্যের দাবিকে শান দিয়ে চলেছেন বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতা-সাংসদ। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে, চব্বিশে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলেই এই বিষয়ে অগ্রসর হবে তারা।
প্রসঙ্গত, বরাবরই ছোট রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করে এসেছে বিজেপি। বাজপেয়ী আমলে তিন নতুন রাজ্য গড়েছিল এনডিএ সরকার। তৈরি হয়েছিল উত্তরাখণ্ড, ছত্তিশগড় এবং ঝাড়খণ্ড। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে মোদী সরকার জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করেছে। বর্তমানে ভারতে ২৮টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে। জানা যাচ্ছে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে জিতলেই মোদী সরকার দেশকে ৫০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাঙবে। যে সব ক্ষুদ্র রাজ্যের দাবি ক্রমে জোরালো হচ্ছে, সেগুলি একে একে বাস্তবায়িত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ফের একটি রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে বিজেপির। আর তাতেই, আরেকবার ‘বঙ্গভঙ্গে’র আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ এবং বাংলার মতো বড় রাজ্যগুলিকে ভাঙা হবে। সেই লক্ষ্য পূরণেই গড়া হবে দ্বিতীয় রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন। জনগণনার রিপোর্টের ভিত্তিতে কাজ করবে সেই কমিশন। ২০২১ সালে জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে জনগণনার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের আগে আর আদমসুমারি হবে না। জনগণনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট সামনে আসলেই রাজ্য পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে খবর।