বিরোধী ঐক্যে ফের একবার শান দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মুখ্য়মন্ত্রী ফোন করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্য়ালিনকে। বেশ কিছুক্ষণ তাদের মধ্যে কথাও হয়। জানা গিয়েছে, অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালরা অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করছেন বলেই অভিযোগ তুলেছেন এমকে স্ট্যালিন। তাঁকে এই ইস্যুতে সমর্থন জানাতেই ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রীদের একসঙ্গে দেখা করে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে বার্তালাপের কথা টুইট করে জানান তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনই। তিনি টুইটে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং আমরা অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যে রাজ্যপালদের অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপের বিরোধিতার যে উদ্যেোগ নিয়েছি, তার প্রশংসা করে তিনি সমর্থন জানিয়েছেন। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করার জন্য বিরোধী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক বসার পরামর্শ দিয়েছেন’।
উল্লেখ্য, সম্প্রতিই তামিলনাড়ুর বিধানসভায় একটি প্রস্তাবনা আনা হয় যেখানে রাজ্য়পালদের কাছে পাঠানো বিলগুলিতে সম্মতি জানানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও চিঠি লিখে অনুরোধ করেন যে বাকি রাজ্যগুলিতেও যাতে একই প্রস্তাবনা আনা হয়। ওই চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, ভারতের গণতন্ত্র ব্যবস্থা ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও কেরালার মুখ্য়মন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও এই বিষয় নিয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী স্ট্যালিনকে প্রতিশ্রুতি দেন যে দিল্লির বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশনে সরকারের তরফে এই প্রস্তাবনা আনা হবে। অন্যদিকে, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন স্ট্যালিনের প্রস্তাবকে গ্রহণ করার আগে ভাবনাচিন্তার জন্য আরও কিছুটা অতিরিক্ত সময় চেয়েছেন।