দিন কয়েক আগেই সিউড়িতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পাশে বসিয়ে প্রকাশ্য সমাবেশে বাংলা থেকে বিজেপি ৩৫ আসন পাবে বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহর সেই দাবিকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তুঙ্গে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। এবার যেমন শাহকে ভুল বোঝাচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির কিছু নেতা— এই মর্মেই নালিশ পৌঁছল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। গোষ্ঠীকোন্দল থেকে জনবিচ্ছিন্নতার জেরে বাস্তব পরিস্থিতি গতবারের থেকে খারাপ। তাই কোনওমতেই ৩৫ আসন পাওয়ার জায়গায় দল নেই। দিল্লীতে গিয়ে এমনটাই জানিয়ে এসেছেন রাজ্য বিজেপির দুই নেতা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল বোঝানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
সূত্রের খবর, অভিযোগের আঙুল উঠেছে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কেন্দ্রীয় ও এক শীর্ষ রাজ্য নেতার বিরুদ্ধে। তাঁরাই দায়িত্ব নিয়ে দিল্লীর নেতৃত্বকে ৩৫ আসন পাওয়া সম্ভব বলে বোঝাচ্ছেন। রাজ্য থেকে যে রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠানো হচ্ছে তাতে ব্যাপক জল মেশান হচ্ছে। রঙ চড়িয়ে ভুলে ভরা মিথ্যা রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে বলে এক কেন্দ্রীয় নেতার কাছে নালিশ জানান ওই দুই রাজ্য নেতা। তাঁদের যুক্তি, যেখানে রাজ্যে সরাসরি ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু বুথে দলের অস্তিত্ব নেই। বাকি ৭০ শতাংশ বুথের অধিকাংশ জায়গায় নেতা-কর্মীর অভাবে বুথ কমিটি গঠন করা যায়নি, সেখানে কীভাবে ৩৫ আসন পাওয়ার কথা বলা হচ্ছে তা ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। তাঁদের আরও দাবি, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ২৫ আসন টার্গেট বেধে দিয়েছে। সেইমতো প্রচার চলছিল। আচমকা অমিত শাহ ৩৫ আসন পাওয়ার দাবি কেন করলেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।