নির্ধারিত সময়সীমার চার সপ্তাহ আগেই শেষ হয়েছে সংসদের সংগ্রহশালার সংস্কারের কাজ। লোকসভার সচিবালয়ের দায়িত্বে থাকা মিউজিয়ামের বিষয়বস্তু তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীনে থাকা ন্যাশনাল মিউজিয়াম ইনস্টিটিউট (এনএমআই)। কিন্তু এরই মাঝেই বিতর্ক ছড়িয়েছে, যে মিউজিয়ামে প্রদর্শিত বিষয়বস্তু অত্যন্ত নিম্নমানের! অভিযোগ, বিষয়বস্তু সংক্রান্ত বিভিন্ন রেফারেন্স নেওয়া হয়েছে উইকিপিডিয়া থেকে। গবেষণার লেশমাত্র নেই। এই নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
ইউপিএ জমানায় ২০০৬ সালে খোলা হয় পার্লামেন্ট মিউজিয়াম। গত বছর এপ্রিলে এনএমআই মিউজিয়ামে প্রদর্শিত বিষয়বস্তু সম্পর্কিত রূপরেখা তৈরির কাজ শুরু করে। গোটা সংস্কার প্রক্রিয়ায় ১৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করা হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সঙ্গে গুরুগ্রামের সংস্থা প্যান ইন্টেলেকমের ১৪ কোটি টাকার চুক্তি হয়। ওই সংস্থা্র অনুরোধে ইতিহাসবিদ ও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের প্রাক্তন অধ্যাপক মাখন লাল গত বছর স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ, ১৯৫৭ সালে জওহরলাল নেহরুর লোকসভায় এবং আম্বেদকরের ১৯৪৯ সালে গণপরিষদে প্রদত্ত ভাষণের অংশবিশেষ মিউজিয়ামের প্রদর্শিত বিষয়বস্তুতে যুক্ত করার প্রস্তাব দেন।
কিন্তু তাঁর প্রস্তাব এনএমআইয়ের তরফে গ্রহণ করা হয়নি। ইতিহাসবিদ লাল অভিযোগ করেন, এনএমআই পার্লামেন্ট মিউজিয়ামে নিকৃষ্টমানের বিষয়বস্তু তৈরি করা হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ যেসব রেফারেন্সের ভিত্তিতে মিউজিয়ামের বিষয়বস্তু তৈরি করা হয়েছে সেই রেফারেন্সের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। তাঁর আর্জি, অবিলম্বে যাঁদের রচনা থেকে এনএমআই বিষয়বস্তুর রেফারেন্স তৈরি করেছে, সেইসব লেখকদের নামের তালিকা তারা প্রকাশ করুক।