আচমকাই চাঞ্চল্য ছড়াল জার্মান মুলুকে। সে দেশে রহস্যজনকভাবে উদ্ধার হল বাঙালি যুবকের দেহ! জানা গেছে, জার্মানির বার্লিন শহরে মারা যান পুলক চক্রবর্তী। । বুধবার একটি লেক থেকে দেহ মিলেছে তাঁর। আদতে সোদপুরের বাসিন্দা পুলকের পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁদের ছেলেকে। ১৪ই এপ্রিলের পর থেকেই তাঁরা আর যোগাযোগ করতে পারেননি তাঁর সঙ্গে। জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া পুলকের দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে বার্লিন পুলিশ। এদিকে একমাত্র সন্তানের দেহ কলকাতায় ফেরাতে রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছেন মা টুলটুল চক্রবর্তী। জার্মানিতে ভারতীয় দূতাবাস এবং দিল্লিতে জার্মান দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে পরিবার। জার্মান আইন অনুযায়ী, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই পুলকের দেহ ভারতে আনার অনুমতি মিলবে। দেহ হাতে পেতে অন্তত লাগবে সাতদিন।
উল্লেখ্য, পরিবার সূত্র অনুযায়ী, ২০১৪ সালে জার্মানিতে গিয়েছিলেন পুলক। স্নাতকোত্তর পড়তে যান সেখানে। তার পরে পড়াশোনা শেষ করে সেখানেই একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি পান তিনি। এর পরে এক জার্মান তরুণীকে ভালবেসে বিয়েও করেন পুলক। ৮ বছরের মেয়ে রয়েছে তাঁদের। পুলকের মা টুলটুল জানিয়েছেন, ১৫ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের আগের সন্ধ্যায় অর্থাৎ ১৪ তারিখ বার্লিনেরই একটি রেস্তরাঁ থেকে বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন পুলক। কথা হয়েছে মায়ের সঙ্গেও। মায়ের সঙ্গে প্রতি সপ্তাহেই নিয়ম করে কথা হতো। কান্নায় ভেঙে পড়ে মা জানান, “ও খুব হাসিখুশি ছিল। নিয়মিত আমাদের খবর রাখত। শেষ যেদিন কথা হয়, অস্বাভাবিক কিছু মনে হয়নি। ওর আত্মহত্যার প্রশ্নই ওঠে না। আমার মনে হয়, ওকে খুন করা হয়েছে। পুজোর সময় ছেলে, বৌমা, নাতনি– সবার বাড়ি আসার কথা ছিল। ঠিক ছিল আমরা রাজস্থান বেড়াতে যাব সপরিবার। সব শেষ হয়ে গেল।” জানা গিয়েছে,ফ
ঙ বুধবার বার্লিনের লেক থেকে দেহ উদ্ধার হওয়ার পরে তা পুলকের বলে শনাক্ত করেন তাঁর স্ত্রী অ্যানা। এই মৃত্যুর কারণ কী হতে পারে, সে ব্যাপারে তিনিও কিছু বলতে পারেননি।