গত শনিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ প্রয়াগরাজের জেল থেকে কোলভিন হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হচ্ছিল উমেশ পাল হত্যা-সহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরাফকে। সে সময়েই হাসপাতালের বাইরে সাংবাদিক সেজে, মিডিয়ার লোকেদের ভিড়ের মধ্যে মিশে, পুলিশি ঘেরাটোপে থাকা আতিক ও আশরাফ আহমেদকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মাথায় গুলি করে খুন করে তিন আততায়ী লাভলেশ তিওয়ারি, অর্জুন মৌর্য এবং সানি সিংহ। এবং জয়শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে সেখানেই আত্মসমর্পণ করে পুলিশের কাছে।
তাদের জেরার পর এবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশ দাবি করল, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই মাঠে নেমেছিল তারা, এমনকি রিপোর্টার এবং ক্যামেরাম্যান হিসেবে নিখুঁত অভিনয় করার জন্য ট্রেনিংও নিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় একটি নিউজ পোর্টালে কাজ করা তিন জন সাংবাদিক ওই তিন অপরাধীকে রীতিমতো ক্র্যাশ কোর্স করিয়েছেন। ঘটনার পরে তাঁরা তিন জন উত্তরপ্রদেশের বান্দায় গিয়ে আত্মগোপন করে ছিলেন, সেখান থেকে ওই তিন জন সাংবাদিকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, তাঁরা যে সাংবাদিকতা শেখাচ্ছিলেন তিন দুষ্কৃতীকে, সেই সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণও মিলেছে। পুলিশ জানিয়েছে, কীভাবে ক্যামেরা ধরতে হয়, কীভাবে বুম ধরতে হয়, কীভাবে সাক্ষাৎকার নিতে হয়, এই সমস্ত জিনিস যাতে রিপোর্টার-সুলভ হয়, তার সবই শিখিয়ে দেওয়া হয়েছিল লাভলেশদের।