গরমের প্রকোপে হয়রান বাংলাবাসী। ক্রমশ চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। রাজ্যের চার জেলায় বুধবার তীব্র তাপপ্রবাহের (সিভিয়ার হিট ওয়েভ) সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এই জেলাগুলি হল পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম এবং পশ্চিম বর্ধমান। গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গেও তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি রয়েছে। এর সঙ্গে ৯০ শতাংশের কাছাকাছি আপেক্ষিক আর্দ্রতায় সকাল এগারোটার পর থেকে ঘরে বাইরে হাঁসফাঁস অস্বস্তি চরমে উঠবে। ২২ তারিখ থেকে পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হবে। একাধিক জেলায় তাপমাত্রা ৪০ এর কোঠা থেকে কিছুটা নামবে। দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং নদীয়ায় ২২ তারিখ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে ২২শে এপ্রিল বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই কলকাতায়।
পাশাপাশি, বুধবার থেকেই হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পঙ জেলায়। বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরবঙ্গের ৫ জেলা অর্থাৎ দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। উত্তরবঙ্গের বাকি ৩ জেলা অর্থাৎ দুই দিনাজপুর ও মালদা শুকনো খটখটে থেকে যাবে। কলকাতায় এপ্রিল মাসে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে থাকা বেনজির ঘটনা নয়। কিন্তু ২ এপ্রিল থেকে আজ ১৯ এপ্রিল, অর্থাৎ ১৭ দিনের মধ্যে ১২ দিন ৪০ বা তার আশেপাশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকাটা বেনজির। আরও ৪৮ ঘণ্টা এই তাপমাত্রা ৪০ বা তার আশেপাশে থাকলে এপ্রিলে এটাই হবে রাজ্যের ইতিহাসে রেকর্ড ভাঙা তাপমাত্রা। এর আগে ২০০৯ সালে এপ্রিল মাসে আট দিন, ২০১০ সালে দুই দিন, ২০১৪ সালে সালে পাঁচ দিন এবং ২০১৬ সালে সালেও আট দিন ৪০ বা তার খুব কাছাকাছি ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর এবার ১২ এপ্রিল থেকেই এই তাপমাত্রা ৪০ এর কাছাকাছি রয়েছে। কলকাতায় মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.৬ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। রাতের তাপমাত্রা ২৯.৬ ডিগ্রি। সেটাও স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশী। ৮৯ শতাংশ আপেক্ষিক আর্দ্রতা রয়েছে। যার জেরে বাড়ছে অস্বস্তি।
