চলতি আইপিলে প্রথম দুটি ম্যাচ হেরে গেলেও ছন্দে ফিরেছে মুম্বই ইন্ডিয়ানস। মঙ্গলবার সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে হারিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক করল রোহিত শর্মার দল। প্রথমে ব্যাট করে ১৯২ রান করে তারা। নিজেদের মাঠে ১৭৮ রানে শেষ হয়ে যায় সানরাইজার্স। এদিন টস জিতে মুম্বইকে ব্যাট করতে পাঠায় হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক এডেন মার্করাম। শুরু থেকেই দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন রোহিত শর্মারা। ৪১ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় মুম্বই। রোহিত ১৮ বলে ২৮ রান করেন। তাঁর উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার টি নটরাজন। ঈশান কিষাণকে ফেরান মার্কো জানসেন। সূর্যকুমার তিন বলে মাত্র সাত রান করে আউট হন। তাঁকেও আউট করেন জানসেন। ৯৫ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় মুম্বই। সেখান থেকে ৫৬ রানের জুটি গড়েন ক্যামেরন গ্রিন এবং তিলক বর্মা। গ্রিন ৬৪ রানে অপরাজিত থেকে গেলেও তিলক ১৭ বলে ৩৭ রান করে আউট হয়ে যান। টিম ডেভিড ১১ বলে ১৬ রান করেন। কিন্তু মুম্বইয়ের পুরো ইনিংসটা তৈরি হয় গ্রিনের উপর ভর করে। এ বারের আইপিএলে এটাই তাঁর প্রথম অর্ধশতরান। হায়দ্রাবাদের হয়ে দু’টি উইকেট নেন জানসেন। একটি করে উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার এবং টি নটরাজন। সব থেকে বেশি রান দিয়েছেন ভারতের বাঁহাতি পেসার। নটরাজন চার ওভারে ৫০ রান দেন। চার ওভারে ৪৩ রান দিয়েছেন জানসেন।
এরপর বল হাতেও হায়দ্রাবাদকে বিপাকে পেলেন গ্রিন। তাঁর আগে হায়দরাবাদকে চাপে ফেলে দেন মুম্বইয়ের অন্য পেসাররা। এ বারের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে শতরান করা হ্যারি ব্রুককে আউট করেন জেসন বেহরেনডর্ফ। তিনি এই ম্যাচে দু’টি উইকেট নেন। রাহুল ত্রিপাঠীর উইকেট নেন তিনি। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামা রিলে মেরেডিথও দু’টি উইকেট নেন। চার ওভারে ৪৩ রান দিলেও দু’টি উইকেট নেন পীযূষ চাওলা। গ্রিন ২৯ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। ১৯তম ওভারে বল করতে এসে মাত্র ২ রান দিলেন গ্রিন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২০ রান প্রয়োজন ছিল হায়দ্রাবাদের। সেই গুরুত্বপূর্ণ ওভারে রোহিত বল তুলে দেন অর্জুন তেন্ডুলকরের হাতে। প্রথম বলেই ওয়াইড ইয়র্কার দেন শচীন-পুত্র। সেই ওভারে একটি উইকেটও নেন তিনি। তাতেই শেষ হয়ে যায় হায়দ্রাবাদের ইনিংস। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক রোহিতের ভূয়সী প্রশংসাও পান অর্জুন। মুম্বইয়ের পরের ম্যাচ ২২শে এপ্রিল। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলবেন রোহিতরা। ২১শে এপ্রিল চিপকে চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি হবে হায়দ্রাবাদ।
