পাহাড়ের মানুষকে স্বনির্ভর করে তুলতে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) গ্রামে গ্রামে পশুপালনের ওপর জোর দিচ্ছে। গরু, বাছুর থেকে শুরু করে ছাগল, পায়রা, পোলট্রি সহ অন্যান্য পশুপালনের মাধ্যমে জিটিএ সবাইকে স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। জিটিএ-র ৪৫টি সংসদ মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার পরিবারকে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতর থেকেই সমস্ত কিছু দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে প্রত্যেক প্রাণীরই বিমা করে দেওয়া হবে।
জিটিএ সূত্রে খবর, এই জন্য মোট প্রকল্প ব্যয় প্রায় ১০০০ কোটি টাকা। পাহাড়ে বেকারত্ব সবচেয়ে বড় সমস্যা। শহরাঞ্চল থেকে এক একটি গ্রামের দূরত্ব বহুদূর। এমনকী প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামগুলির সঙ্গে এখনও সুষ্ঠু সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই। সেই সব এলাকায় সামান্য কৃষিকাজ করেই মানুষকে সংসার চালাতে হয়। সেভাবে পাহাড়ে কোনও শিল্প না থাকায় বেকারত্ব ক্রমশই বাড়ছে। এই সমস্যার বিষয়টি মাথায় রেখেই জিটিএ এবার অর্থনৈতিকভাবে মানুষকে কিছুটা চাঙ্গা করার উদ্যোগ নিয়েছে।
জিটিএ-র মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক এসপি শর্মা জানিয়েছেন, গরু, ছাগল, পায়রা, শুয়োর, পোলট্রি পালনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এসব কিছুই বিনামূল্যে কৃষকদের দেওয়ার পাশাপাশি এগুলিকে লালনপালনের জন্য প্রয়োজনীয় বাসনপত্র, পশুপালনের জন্য ছাউনি তৈরি এবং প্রতিটি পশুর জন্য বিমার ব্যবস্থাও করে দেওয়া হচ্ছে। জিটিএ’র ৪৫টি সমষ্টির প্রত্যেকটিতে ১১০০ পরিবারকে এই সামগ্রী প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এই পশুগুলি লালনপালন করে বড় করার পর উপভোক্তারা তাঁদের ইচ্ছেমতো সেগুলিকে বিক্রি করতে পারবেন। প্রতিটি পরিবারকে এই পরিকাঠামো তৈরি করে দিতে জিটিএ-র অন্তত কোটি টাকার তহবিল প্রয়োজন। সরকারের পক্ষ থেকে ধাপে ধাপে এই টাকা আসবে।
সোমবার কালিম্পংয়ের পেডং-এ এই প্রকল্পের উদ্বোধন হয়। জিটিএ-র চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা বেশ কয়েকজনের হাতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে বকনা বাছুর, গরু, ছাগল, শুয়োর, পোলট্রি সহ অন্যান্য সুবিধা তুলে দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমাদের এবার স্বাবলম্বী হতে হবে। পাহাড়ের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য আমাদের এর মাধ্যমেই বিপ্লব আনতে হবে। জিটিএ-র মাধ্যমে পাহাড়ের সামগ্রিক বিকাশের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই কর্মযজ্ঞে সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে।’