কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটল রাজ্য পরিবহণ দফতর। এবার সমস্ত বেসরকারি বাসে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশ দেওয়া হল। হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে সমস্ত বাস সংগঠনকে এ বিষয়ে চিঠি দিতে চলেছে রাজ্য। সেখানে পরিষ্কার উল্লেখ করে দেওয়া হবে, ২০১৮ সালের সরকার নির্ধারিত বাস ভাড়াই নিতে হবে বাসমালিকদের। পাশাপাশি টাঙাতে হবে ভাড়ার তালিকা। বাড়তি ভাড়া নিলে সেই মালিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। মঙ্গলবার পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মেনেই আমরা বাসমালিকদের জানাচ্ছি, বাড়তি ভাড়া না নেওয়ার জন্য। এবং প্রত্যেক বাসে ফেয়ার চার্ট টাঙানোর জন্য। বেসরকারি বাসমালিক সংগঠনগুলোকে এবিষয়ে চিঠি আমরা পাঠাচ্ছি। যত শীঘ্র সম্ভব, সেই নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। এবং ২০১৮ সালের যে ভাড়া সরকার ঠিক করেছিল, তাই নিতে হবে।’’ পাশাপাশি অবশ্য মন্ত্রী এও জানান, কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে, তাতে বাসমালিকরা ভাড়া বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু বেআইনিভাবে করা উচিত নয় কোনওকিছুই।
পাশাপাশি, পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা ভেবেই বাসের ভাড়া বাড়াননি। সরকারি বাসে ২০১৮ সালের ভাড়ার তালিকা অনুযায়ীই ভাড়া নেওয়া হয়। কিন্তু বেসরকারি বাসে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আদালত জানিয়েছে, রেটচার্ট টাঙাতে হবে বেসরকারি বাসে। সরকার তা জানিয়ে দেবে। বাসভাড়া নিয়ে নিত্যযাত্রীদের অভিযোগের অন্ত নেই। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার থেকে বেশি ভাড়া নেওয়া, বাসে ভাড়ার চার্ট টাঙানো, অভিযোগ জানানোর কোনও যথার্থ ব্যবস্থা না থাকা নিয়ে, ক্রমেই যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। এই নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত জানিয়েছে, কোনওভাবেই সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া নেওয়া যাবে না। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিটি বেসরকারি বাস ও মিনিবাসে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা রাখতে হবে। ভাড়া সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর জন্য প্রতিটি বাসের ভিতরে ও বাইরে এলাকাভিত্তিক টোল-ফ্রি ফোন নম্বর লিখে রাখতে হবে। এসএমএসের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে অভিযোগ।
