অবশেষে উদ্ধার হল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দীপঙ্কর মণ্ডলের মৃতদেহ। বাড়ি থেকে বেড়িয়ে ৩ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল সে। ঘটনার নেপথ্যে পারিবারিক অশান্তি নাকি অন্য কোনও কিছু, তা জানার চেষ্টায় পুলিশ। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির কান্তনগরের বাসিন্দা দীপঙ্কর। এবছর মাধ্যমিক দিয়েছে সে। পরীক্ষার পর উপার্জনের তাগিদে বাবা অশোক মণ্ডল তাকে একটি টোটো কিনে দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, গত রবিবার দুপুরে দুই যুবক দীপঙ্করকে ফোন করে। জানায়, তার টোটোয় করে কুমড়ো নিয়ে যেতে হবে। সেই জন্য রঘুনাথগঞ্জ আইলের উপর ডেকে পাঠায় ছাত্রকে। সেই যে বাড়ি থেকে বের হয়, এরপর আর ফেরেনি দীপঙ্কর। পরিবারের লোকেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিলেও কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সাগরদিঘি ও রঘুনাথগঞ্জ থানায়।
এরপর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখে জানতে পারে, শেষ রঘুনাথগঞ্জ আইলের উপর ছিল দীপঙ্কর। এরপর তারা দেখে, ওই এলাকায় আর কে কে ছিল একইসময়। এরপরই তিনজনের খোঁজ পায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তাদের মধ্যে দুজনকে। এরপরই প্রকাশ্যে আসে পুরো বিষয়টা। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। ধৃতদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার ভোরে উদ্ধার করা হয় দীপঙ্করের দেহ। তবে খুনের কারণ নিয়ে ঘনীভূত ধোঁয়াশা। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, এক আত্মীয়ের সঙ্গে জমি নিয়ে অশান্তি চলছিল। ফলত সেই কারণে এই খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে অনুমান করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
