যোগী রাজ্যে গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরফকে শুটআউটের ঘটনায় ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যোগী রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে। কারণ ঘটনার রাতে, শনিবার নিরাপত্তার ব্যাপক অভাব ধরা পড়েছে। যার জেরে যোগীর পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছে তারা। প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে যেখানে আতিক আহমেদ খুন হন, সেখান থেকে হাসপাতালের দরজা ছিল মাত্র কয়েক হাত দূরে। পুলিশ সূত্রে খবর সোমবারই আতিক ও আশরফের পুলিশ হেফাজত শেষ হওয়ার কথা ছিল। তাঁদের ধূমলগঞ্জ থানা থেকে পুলিশের পাহারায় কোলভিন হাসপাতালে রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সঙ্গে ছিল দুটি গাড়ি আর ২০ জন সশস্ত্র পুলিশকর্মী। হাসপাতাল থেকে থানার দূরত্ব ছিল ৭ কিলোমিটার। যা মাত্র ২০ মিনিটেই অতিক্রম করে পুলিশের গাড়ি। হাসপাতালের মধ্যে গাড়ি দাঁড় করানোর প্রচুর জায়গা থাকলেও পুলিশের গাড়ি হাসপাতালের দরজার বাইরে ডানদিকে গিয়ে দাঁড়ায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আতিক ও আশরফকে হাতকড়া পরিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা জানতেন আতিক আহমেদকে হাসপাতালে আনা হবে। তাই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি থানা থেকেই পুলিশের পিছু নিয়েছিল। তাদের প্রতিনিধিরা আতিকদের বক্তব্য টেপবন্দি করতে চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু, আতিকরা প্রথমে বক্তব্য জানাতে চাননি। দু’পা এগোতেই ফের তাঁদের মুখের কাছে মাইক ধরা হয়। একমুহূর্ত দাঁড়ানোর পর পুলিশের ধাক্কায় আতিকরা সামনের দিকে এগিয়ে যান। এরপরই সাংবাদিকরা আতিকদের ঘিরে ধরেন। প্রশ্ন করেন, কেন আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাইকে এনকাউন্টারে নিহত আসাদকে কবর দেওয়ার সময় দেখা গেল না? আর, ঠিক সেই সময়ই আতিক ও তার ভাইকে লক্ষ্য করে লাভলেশ তিওয়ারি, সানি পুরানে ও অরুণ মৌর্যরা গুলি চালায়। সব মিলিয়ে ২২ সেকেন্ডে ১৮ রাউন্ড গুলি চালায় লাভলেশরা। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাদের বাধা দেয়নি। এরপর অস্ত্র ফেলে দিয়ে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে আততায়ীরা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। স্বভাবতই, এই সব ঘটনা পরম্পরার জেরে আতিক আহমেদের হত্যাকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা।
