কর্ণাটকের পর এবার মণিপুরেও প্রবল বিপাকে পদ্মশিবির। অস্বস্তিতে পড়লেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ১০ থেকে ১২ জন বিজেপি বিধায়ক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ চাইতে রাজধানীতে এসেছেন। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হোক বীরেনকে। না হলে অন্তত রাজ্যের মন্ত্রিসভার পুনর্বিন্যাস করা হোক। স্বভারতই প্রশ্ন উঠছে, ঠিক কী কারণে বীরেন সিংয়ের প্রতি এই অসন্তোষ? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিদ্রোহী বিধায়ক এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “বিজেপি যে মণিপুর ও উত্তরপূর্ব ভারতে জমি পেয়েছে তার পিছনে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নেতৃত্ব। কিন্তু রাজ্য বিজেপির কারণে আমাদের বেশ কিছু ইস্যুর মুখে পড়তে হয়েছে। মণিপুরের নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক নয়। যেন রাজতন্ত্র চলছে। আমরা চাই এই ইস্যুগুলির সমাধান হোক।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মাসেই মণিপুর সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ‘সাসপেন্স অফ অপারেশন মুভমেন্ট’ চুক্তির অপসারণের। বিগত ২০০৮ সালের ২২শে আগস্ট কুকিদের দুটি সংগঠন কুকি ন্যাশনাল অরগানাইজেশন এবং ইউনাইটেড পিপলস ফ্রন্ট চুক্তি করে কেন্দ্রের সঙ্গে। সেই চুক্তি অপসারিত হয় মার্চে। এর বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে বিদ্রোহী বিধায়কদের। সব মিলিয়ে ক্রমশ মাথাব্যথা বাড়ছে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর। কয়েকদিন আগেই বিজেপি বিধায়ক থকচম রাধেশ্যাম সিং মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। তখন থেকেই দলে অন্তর্দ্বন্দ্বের আঁচ প্রকট হয়ে উঠেছিল। এবার তা আরও স্পষ্ট হল বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
