নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত সপ্তাহেও তাঁর স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় চাকরি খারিজের যাবতীয় নির্দেশ ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এভাবে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একের পর এক নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ জারি হচ্ছে। তখন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য সম্পর্কেও সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ উঠছে।
এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুকুল রোহতগি সুপ্রিম কোর্টে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর বেঞ্চে অভিযোগ তুলেছিলেন। বলেছিলেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের দুর্নীতির মামলা শুনছেন। সেই মামলা নিয়েই টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। তাঁর মামলা শোনার কোনও অধিকার থাকতে পারে না!
আর এবার আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিও সুপ্রিম কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন খোদ প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে। সিঙ্ঘভি আদালতে উল্লেখ করেন, ‘হাই কোর্টের বিচারপতি বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলে যা ইচ্ছে করা যায়? জমিদারি নাকি?’ উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর বেঞ্চ ২০২০ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই ও ইডি-র যৌথ তদন্তের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। তার পরের দিনই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওই মন্তব্য করেছিলেন। মনু সিঙ্ঘভি সে কথা টেনে বলেন, ‘এ সবের অনুমতি দেওয়া যায় না।’