চলতি আইপিএলে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন তিনি। রয়েছেন সর্বোচ্চ রানগ্রাহকদের তালিকাতেও। রবিবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ানসের বিরুদ্ধে চোখ ধাঁধানো শতরান করেছেন কেকেআরের ব্যাটার বেঙ্কটেশ আইয়ার। আহমেদাবাদে ৮৫ রান করেছেন গুজরাত টাইটানসের বিরুদ্ধেও। তবে, বেঙ্কটেশ রান পেলেও তাঁর স্টান্স এবং শট নেওয়ার ভঙ্গি নিয়ে সমালোচনা অব্যাহত। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও ব্যাটের ভেতরের দিকের কোণে বল লেগে তিনটি চার হয়েছিল। ভাগ্য সহায় না হলে হয়তো সেই শটগুলোর কোনও একটি উইকেট ভেঙে দিতে পারত। ম্যাচের শেষে কিংবদন্তি শচীন তেন্ডুলকরের পরামর্শ নিতে যান বেঙ্কটেশ। সূত্রের খবর, বেঙ্কটেশকে স্টান্স ও টেকনিক উন্নতি করার পরামর্শ দিয়েছেন শচীন। তিনি মনে করেন, এই দুটো বিষয় মেরামত করতে পারলে বেঙ্কটেশকে আটকানো কঠিন হবে যে কোনও দলের পক্ষে। কেকেআর তারকার হাতে বড় শট নেওয়ার ক্ষমতা আছে। যে কোনও মাঠে ছয় মারার ক্ষমতাও রয়েছে তাঁর। ওপেনিংয়ে সফল। মাঝের দিকে ব্যাট করতে নেমেও ভাল খেলেছেন এর আগে। এমনকী ফিনিশারের ভূমিকাও পালন করতে পারেন তিনি। দলের প্রয়োজনে বল হাতেও মূল্যবান কিছু ওভার করার ক্ষমতা রয়েছে বেঙ্কটেশের। যে কোনও দলের কাছেই তাঁর মতো ক্রিকেটার বড় সম্পদ। কেকেআর তাঁকে রেখে দিয়ে কতটা লাভবান হয়েছে, তা শেষ কয়েকটি ম্যাচে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে বেঙ্কি বলেছেন, ‘‘পাওয়ারপ্লে হোক কি ১৬তম ওভার, আমার কাজ দ্রুত রান করা। বড় শট নিতে পিছপা হই না।’’ যদিও তাঁর কীর্তির দিনে দল হেরে যাওয়ায় খুশি নন বেঙ্কটেশ। বলেন, ‘‘জিতলে খুবই ভাল লাগত। তবে উন্নতির জন্য যতটা সম্ভব পরিশ্রম করে যেতে চাই। দল কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, সেটা সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়েই ঠিক হবে। আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব, এই সমস্যা মিটিয়ে আগামী ম্যাচের জন্য তৈরি হতে।’’ উল্লেখ্য, বাঁ-পায়ের গোড়ালিতে চোট পেয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে বেঙ্কটেশ ছিটকে গিয়েছিলেন গত মরসুমে। আইপিএল তাঁর কাছে যে প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ, তা জানিয়ে দেন। বলেন, ‘‘গোড়ালিতে যে চোট পেয়েছিলাম, তাতে খেলতে পারব কি না, তা নিয়েই ছিল প্রশ্ন। চিকিৎসকেরা বলতেন, আগের মতো দৌড়তে পারব না। কিন্তু মনের জোরে ফিরেছি।’’ বৃহস্পতিবার নাইটদের প্রতিপক্ষ দিল্লী ক্যাপিটালস। সোমবারই দিল্লী পৌঁছে গিয়েছে কেকেআর-বাহিনী।
