বছর ঘুরলেই দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন। গদি বাঁচাতে মরিয়া পদ্মশিবির। বাংলায় এসে ৩৫টি আসনের টার্গেট দিয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ। তবে এ রাজ্যে সংগঠনের বেহাল দশা চিন্তায় ফেলেছে বঙ্গ বিজেপিকে। পাশাপাশি, ঘুম ছুটেছে বাংলার গেরুয়া সাংসদদেরও। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে সকলের টিকিট জুটবে কি না, তা ঘিরে সংশয়ের মেঘ ঘনীভূত হয়েছে। দিল্লীর নেতারা এবার আরও সতর্ক হবেন টিকিট বন্টনের ক্ষেত্রে। শোনা যাচ্ছে, বিজেপি সাংসদের জনপ্রিয়তা এবং পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করেই রিপোর্ট তৈরি করবেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই মিলবে টিকিট। পারফরম্যান্স সন্তোষজনক না হলে প্রার্থীপদ পাওয়া যাবে না।
উল্লেখ্য, বিজেপির রীতি অনুযায়ী সচরাচর বিদায়ী সাংসদদের বদল করা হয় না। যদিও বিজেপির অন্দরে খবর, এবার সেই রীতি ভাঙতে চলেছে। দিল্লী থেকে সাংসদদের রিপোর্ট কার্ড তৈরির বার্তা এসেছে। যার ভিত্তিতে প্রার্থী ঠিক করা হবে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সাফ জানিয়েছেন, বর্তমানের সব সাংসদকে ফের টিকিট দেওয়া হবে কি না, সে বিষয় তিনি কিছুই বলতে পারবেন না। সব ঠিক করবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সম্প্রতি বঙ্গ সফরে এসে লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে ৩৫টি আসনের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন শাহ। এখন বাংলায় বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ১৬, শাহের টার্গেটে পৌঁছতে আরও ১৯টি বেশি আসনে জিততে হবে বিজেপিকে। কিন্তু অধুনা হাতে থাকা ১৬টি আসন কি আদৌ ফের জিতবে বিজেপি? দলের অন্দরে ঘুরপাক খাচ্ছে এমনই প্রশ্ন। রাজ্যের ১৬ জন সাংসদের নিজের এলাকায় জনভিত্তি সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করছেন রাজ্যস্তরের নেতারা। পাশাপাশি তথৈবচ সংগঠন ক্রমশ মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে পদ্ম-নেতৃত্বের।
