হাল আমলে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার উপর আস্থা রাখছেন আমজনতার একটি বড় অংশ। মুঠোফোনের এক ক্লিকেই ঘরের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে খাবার। পাশাপাশি, বাংলাজুড়ে গজিয়ে উঠেছে ছোট ছোট হোম ডেলিভারি সার্ভিস। তবে এর মাঝেই সামনে আসছে অস্বাস্থ্যকর তথা নিম্নমানের খাবার সরবরাহের অভিযোগ। তা রুখতেই এবার কড়া পদক্ষেপের পথে রাজ্যের ফুড সেফ্টি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস বিভাগ। বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। কলকাতা পুরসভা-সহ প্রতিটি জেলায় এই বিভাগের ইনসপেক্টররা সারপ্রাইজ অভিযান চালাবেন বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে গিয়ে খতিয়ে দেখা হবে খাবারের গুণমান। খাবারে কোনও কৃত্রিম রঙ মেশানো হচ্ছে কিনা, রান্নাঘরের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হচ্ছে, সেসব বিষয়ে নজরদারি চালানো হবে। খাবার বিক্রি করছে এমন সংস্থাগুলোর ফুড লাইসেন্স আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।
এছাড়া যাদের লাইসেন্স নেই, তাদের দ্রুত লাইসেন্স করতে বলা হবে। সমস্ত নিয়ম মেনে ব্যবসা করার বিষয়ে নির্দেশ দেবে প্রশাসন। রান্না করা খাবার কারা বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবসা করছেন, সেসব তথ্য জোগাড় করে, তাদের হেঁশেলেও অভিযান চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, অনলাইনে খাবার আনিয়ে ঠকছেন মানুষজন, প্রায়শই এমন অভিযোগ আসে। সম্প্রতি এক নামী হোটেলে কেক-পেস্ট্রির উপর আরশোলার ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। খাবার ওজনে কম থাকলে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে অভিযোগ করা যায়। কিন্তু খাবারের গুণমান ঠিক আছে কিনা তা দেখভালের দায়িত্ব সামলায় ফুড সেফ্টি বিভাগ। খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে একটি স্টেট লেভেল অ্যাডভাইসরি কমিটি রয়েছে। কমিটি সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিল। বাংলার প্রতি ডিভিশনে খাদ্যের গুণমান নির্ণায়ক ল্যাবরেটরি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি, খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সারা বাংলাজুড়ে সচেতনামূলক প্রচার কর্মসূচী চালাবে রাজ্য।