গত বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মোদী সরকার জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে একটি ফ্যাক্ট-চেক বডি তৈরি করা হবে। যাদের কাজ হবে, অনলাইনে ছড়ানো ভুয়ো তথ্য সরানো। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের সেই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে বিরোধীরা। সত্য অনুসন্ধানের চেষ্টা নাকি সত্যিটা আটকে দেওয়ার চেষ্টা? উঠছে সেই প্রশ্ন। কংগ্রেস যেমন বলছে, এই পদক্ষেপ আদতে সেন্সরশিপ ছাড়া আর কিছুই নয়। অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন বলেন, ‘মোদী-শাহের বিজেপি, যারা ভুয়ো খবর ছড়ানোর কর্ণধার, তারাই ফেক নিউজ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। আমাদের তো হাসি থামছেই না।’
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, ‘সবথেকে বেশি ফেক নিউজ প্রচার করে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি।’ লোকসভার কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রাক্তন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মনীশ তিওয়ারি বলেন, ‘সরকারের এই পদক্ষেপ তাদের নিরাপত্তাহীনতার প্রমাণ দিচ্ছে। এটা সেন্সরশিপ ছাড়া আর কিছুই নয়। কোনটা আসল আর কোনটা নকল, সে ব্যাপারে সরকার শেষ কথা বলবে! এটা খুব অদ্ভুত।’ আর এক কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের দাবি, সরকার বেশিরভাগ সময় নিজেদের স্বার্থেই ভুয়ো খবর ছড়ায়। সে ক্ষেত্রে সরকার পক্ষপাতিত্ব না করে ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর মতে, কোনও নিরপেক্ষ কমিটির হাতে এই সত্য অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। যার মধ্যে জনপ্রতিনিধি ও সংবাদকর্মীরা থাকবেন।