মেয়ের সঙ্গে প্রেমে বাধা দেওয়ায় এবার কোচবিহারের কুপিয়ে খুন করা হল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা, তাঁর স্বামী এবং বড় মেয়েকে! আততায়ীদের হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যার ছোট মেয়েও। শুক্রবার কোচবিহারের শীতলখুচির পশ্চিমপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে।
প্রাথমিক ভাবে অনুমান, পঞ্চায়েত সদস্যার ছোট মেয়ের প্রেমঘটিত সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে শীতলখুচি থানার পুলিশ। তাঁদের এক জনের নাম বিভূতিভূষণ রায়। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর সঙ্গে ছোট মেয়ে ইতি বর্মণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মা বলেন, ‘প্রধান অভিযুক্ত বিভূতিভূষণ রায় এবং তাঁর সঙ্গীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রেমঘটিত সম্পর্কের কারণেই এই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।’
স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোর রাতে চিৎকার শুনে পঞ্চায়েত সদস্যা নীলিমা বর্মণের বাড়িতে ছুটে যান পড়শিরা। গিয়ে দেখেন, নীলিমা, তাঁর স্বামী বিমলকুমার বর্মণ (৬৮) এবং তাঁদের বড় মেয়ে রুনা বর্মণ (২৪) রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন তড়িঘড়ি তাঁদের মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে নীলিমা ও তাঁর স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পরে বড় মেয়েকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ছোট মেয়েও ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পড়শিরা জানান, তাঁরাই বিভূতিভূষণ ও তাঁর সঙ্গীদের ধরে পুলিশে হাতে তুলে দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশীদের বয়ান ও ধৃতদের জেরায় করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ইতির সঙ্গে বিভূতিভূষণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে কথা বিভূতিভূষণ জেরায় স্বীকারও করে নিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, ‘প্রেমিকা’র পরিবার সেই সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণেই এই খুন।